কংগ্রেসের সঙ্গে জোট ভাঙার হুমকি কুমারস্বামীর। কর্ণাটকে কি বিজেপি সরকার গড়বে, জল্পনা

লোকসভা ভোটের আগেই কি ভেঙে যাবে কর্ণাটকে কংগ্রেস- জেডিএস জোট? বিজেপি কি সরকার গড়বে দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যে? এমন নানা প্রশ্ন কয়েক দিন ধরেই ঘুরপাক খাচ্ছিল কর্ণাটকে। এরই মধ্যে সম্প্রতি জেডিএস নেতা এবং মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী বলেছিলেন, রাহুল গান্ধীকে তিনি প্রধানমন্ত্রী দেখতে চান। কিন্তু ফের জট তৈরি হল এই কংগ্রেস-জেডিএস জোটে।
যার জেরে লোকসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে কর্ণাটকে বিপাকে পড়ে গেল কংগ্রেস-জনতা দল (সেকুলার) জোট। কংগ্রেস নেতাদের একাধিক বিতর্কিত মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে জোট ভাঙার হুমকি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী। সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী জানান, কংগ্রেস নিজের সীমা লঙ্ঘন করলে, তিনিও জোট ভাঙার সিদ্ধান্ত নেবেন। কুমারস্বামী আরও জানান, জোট ভাঙলে তাঁর দল নয়, বিপাকে পড়বে কংগ্রেসই। তাই কংগ্রেস নেতৃত্ব সংযত থাকলে, আখেরে তাঁদেরই লাভ হবে বলে তোপ কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন ধরেই কর্ণাটকের রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় চলছে বিজেপির ‘অপারেশন কমলা’ নিয়ে। কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন নেতাকে ভাঙিয়ে গেরুয়া শিবিরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে। সূত্রের খবর, এনিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট সঙ্গী জনতা দল (সেকুলার) এর মধ্যে অশান্তি শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে, কংগ্রেস বিধায়ক এস টি সোমশেখর সম্প্রতি প্রকাশ্যেই বলে বসেন, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর আসনের আসল দাবিদার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া। তিনি আবার মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসলে রাজ্যের ‘প্রকৃত উন্নয়ন’ হবে। অন্য কংগ্রেস মন্ত্রী সি পুত্তারঙ্গশেট্টির দাবি, তিনি শুধুমাত্র সিদ্দারামাইয়াকেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলে মানেন। কিছুদিন আগে সিদ্দারামাইয়া নিজেও জানিয়েছিলেন, তিনিই মুখ্যমন্ত্রী পদের প্রকৃত দাবিদার। কিন্তু নিজের দলের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধাচরণের জন্যই তাঁর ২০১৮ সালে মুখ্যমন্ত্রী হওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন সিদ্দারামাইয়া। এর আগেও, মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর বিভিন্ন সিদ্ধান্তের প্রকাশ্যে বিরোধিতা করে আসছেন তিনি।
তবে কুমারস্বামীর এই কংগ্রেস বিরোধী মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্দারামাইয়ার প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে, তিনি পালটা সাংবাদিকদেরই দুষেছেন। তাঁর কথায়, কংগ্রেস ও জনতা দলের মধ্যে কোনও সমস্যা নেই। মিডিয়াই এই সমস্যা তৈরি করছে বলে অভিযোগ করেন কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি শীঘ্রই কুমারস্বামীর সঙ্গে এব্যাপারে আলোচনা করবেন বলে জানান সাংবাদিকদের।
অন্যদিকে, দুই জোট সঙ্গীর এই সংঘাত আসলে তাদের নিরাপত্তাহীনতার জেরেই বলে কটাক্ষ করেন কর্ণাটকের এক বিজেপি নেতা।

Comments are closed.