সেনা গুলিতে ৭ জনের মৃত্যুতে থমথমে কাশ্মীরে জারি ১৪৪ ধারা, জেকেএলফ নেতা ইয়াসিন মালিকক গ্রেফতার

কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় সেনাবাহিনীর গুলিতে শনিবার ৭ স্থানীয় বাসিন্দার মৃত্যুর ঘটনায় ফুঁসছে সাধারণ মানুষ। রীতিমতো থমথমে অবস্থা উপত্যকাজুড়ে। শ্রীনগর, পুলওয়ামাসহ উত্তর কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় জারি হয়েছে ১৪৪ ধারায়।
এই অবস্থায় সেনার গুলির প্রতিবাদে বাদামবাগ ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাওয়ের ডাক দেয় জয়েন্ট রেসিসটেন্স লিডারশিপ (জেআরএল)। যদিও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে স্থানীয়দের আবেদন করা হয়েছে এমন কোনও পদক্ষেপ না নিতে। সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র দাবি করেছেন, পাকিস্তানের মদতে কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটছে। তবে তাঁরা সাধারণ মানুষকে শান্তি বজায় রাখার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, সাধারণ মানুষের এরকম মৃত্য অনভিপ্রেত। কিন্তু মনে রাখা দরকার দেশের স্বার্থে ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা রক্ষা করতে সেনা জওয়ানরা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে। তাঁরা সবসময় চেষ্টা করেন সেনা ও জঙ্গির গুলির লড়াইয়ে কোনও সাধারণ নাগরিক ও তাঁর সম্পত্তির যেন কোনও ক্ষতি না হয়।
জেআরএল -এর ‘বাদামবাগ চলো’ অভিযানের সমালোচনা করে সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়, পাকিস্তানের মদতে দেশের মধ্যে বিশৃঙ্খলা আর অশান্তি ছড়াতে এমন একটি অভিযান করতে উদ্যত হয়েছে জেআরএল। সাধারণ মানুষকে এই ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে’ মদত না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়।
অন্যদিকে, শনিবার সেনার গুলিতে ৭ সাধারণ নাগরিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে জেআরএল নেতা সইদ আলি গিলানি ও মহম্মদ ইয়াসিন মালিকরা স্থানীয়দের বাদামবাগ ‘অভিযানে’ যাওয়ার ডাক দিয়েছেন। এছাড়াও, মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে ৩ দিনের বনধ ডাকেন তাঁরা। উত্তেজনা প্রশমনে সোমবার জেকেএলএফ প্রধান ইয়াসিন মালিককে শ্রীনগরে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সব মিলে রীতিমতো থমথমে পরিস্থিতি উপত্যকায়।

Comments are closed.