কংগ্রেস-মুফতি-ওমর আবদুল্লা জোটের খবর প্রকাশ্যে আসতেই জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা ভেঙে দিলেন রাজ্যপাল

চমকের পর চমক। জম্মু-কাশ্মীরে কংগ্রেস, পিডিপি এবং ন্যাশনাল কনফারেন্সের জোটের খবর প্রকাশ্যে এসেছিল বুধবার। আর চির প্রতিদ্বন্দ্বী মেহেবুবা মুফতি-ওমর আবদুল্লা এবং কংগ্রেস জোটের খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিধানসভা ভেঙে দিলেন জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল! বুধবার সন্ধ্যায় রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের এই সিদ্ধান্ত জম্মু-কাশ্মীরের শাসনে আরও কঠিন চ্যালেঞ্জ হল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। রাজ্যপালের এই ‘বিতর্কিত’ সিদ্ধান্তের ফলে রাজ্যপাল শাসনের মেয়াদ শেষ হওয়ার দু’বছর আগেই নির্বাচনের মুখোমুখি হতে চলেছে জম্মু-কাশ্মীর।
রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক জানিয়েছেন, বর্তমান রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে রাজ্য পরিচালনা করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তাই এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। মালিক নাম না করে অভিযোগ করেছেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে ঘোড়া কেনাবেচা ও আর্থিক লেনদেন হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বুধবারই চির প্রতিদ্বন্দ্বী পিডিপি নেত্রী মেহেবুবা মুফতি, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা এবং কংগ্রেসের জোট করে জম্মু কাশ্মীরে সরকার গড়ার খবর প্রকাশ্যে আসে। তাই অভিযোগের আঙুল যে মালিক তাঁদের দিকেই তুলছেন তা একরকম স্পষ্ট।
যদিও সূত্রের খবর, মেহেবুবা এবং ওমর আবদুল্লা যে জোট গড়তে চলেছেন তা আগেই আন্দাজ করেছিল বিজেপি। এসপ্তাহের গোড়াতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেছিলেন রাজ্যপাল।
এই প্রসঙ্গে পিডিপি সুপ্রিমো মেহেবুবা মুফতি জানান, কংগ্রেসের ১২ টি আসন ও ওমর আবদুল্লার ন্যাশনাল কনফারেন্সের ১৫ আসন নিয়ে মোট ৫৬ আসনে তাদের সমর্থন আছে দাবি করে চিঠি পাঠানো উদ্যোগ নেওয়া হয় রাজ্যপালের কাছে। আর তাতে সহজেই বিধানসভার ৮৭ টি আসনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতো জোট। কিন্তু কোনওভাবেই তিনি রাজ্যপালের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে তা ফ্যাক্স করেন।
এরপরেই, রাজ্যপাল বিধানসভার ভাঙার কথা ঘোষণা করেন।
মেহেবুবা রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করে ট্যুইট করেন, অবশেষে ফ্যাক্স মেশিন চালু হয়েছে। ট্যুইটে রাজ্যপালের সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেন ওমর আবদুল্লাও। তিনি বলেন, মুফতির চিঠির পরিপ্রেক্ষতেই তড়িঘড়ি রাজ্যপালের সিদ্ধান্ত।
চলতি বছরের জুন মাসে পিডিপি জোট সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয় বিজেপি। যার ফলে মেহবুবা মুফতির সরকার পড়ে যায়। এরপরই জম্মু-কাশ্মীরে জারি হয় রাজ্যপাল শাসন।

Comments are closed.