খর্ব হচ্ছে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা, সুপ্রিম কোর্টে মামলা করল কাশ্মীর টাইমস

জম্মু-কাশ্মীর থেকে বিশেষ মর্যাদা সরিয়ে নেওয়ার পর বাধার মুখে পড়েছে সংবাদমাধ্যম, উপত্যকা জুড়ে অঘোষিত কার্ফু জারি হওয়ায় স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়েছে, এমনই অভিযোগ করে সুপ্রিম কোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করলেন ‘কাশ্মীর টাইমস’ এর সম্পাদক অনুরাধা বাসিন।
শনিবার তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা দেন কাশ্মীর টাইমসের সম্পাদক। রিট পিটিশনে অভিযোগ জানানো হয়, গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে উপত্যকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর থেকে কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষ মর্যাদা সরিয়ে নেওয়ার প্রেক্ষিতে সারা উপত্যকায় যে অঘোষিত কার্ফু জারি হয়েছে তাতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে সংবাদমাধ্যম। চিত্র সাংবাদিক ও রিপোর্টারদের চলাফেরাতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। সংবাদপত্র প্রকাশনা ও পরিবেশনা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের সাধারণ নাগরিকই জানতে পারছেন না, রাজ্য থেকে বিশেষ মর্যাদা সরিয়ে নেওয়ায় এবং জম্মু-কাশ্মীরকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করায় তাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ জীবন-যাপনে কী প্রভাব পড়তে চলেছে। সংবাদমাধ্যম তাদের স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছোতে পারছে না।
এই পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যম যাতে স্বাধীনভাবে নিজেদের কাজ করতে পারে, তা নিয়ে শীর্ষ আদালতের নির্দেশিকার জন্য আবেদন করা হয়েছে।
জম্মু ও শ্রীনগর থেকে প্রকাশিত কাশ্মীর টাইমস সংবাদপত্রের দৈনিক সার্কুলেশন প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ। উপত্যকার সবচেয়ে বেশি প্রচারিত এই ইংরেজি সংবাদপত্র তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারছে না বলে সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ জানিয়েছে। গত ৪ঠা অগাস্ট থেকে উপত্যকার মোবাইল নেটওয়ার্ক থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যাহত। স্কুল-কলেজ, অফিস-কাছারি, দোকান-বাজার বন্ধের ফলে সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতা, ভয় ও উদ্বগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের সুনির্দিষ্ট নির্দেশ জরুরি বলে পিটিশনে আর্জি জানান কাশ্মীর টাইমসের সম্পাদক।

Comments are closed.