কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ কেরল বিধানসভায়, বিজেপি বিধায়কের সমর্থন!

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের পর কেন্দ্রের তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ হল কেরল বিধানসভায়। আর এই প্রস্তাবে এলডিএফ ও ইউডিএফ বিধায়কদের সঙ্গে সমর্থন জানিয়ে দলকে বিড়ম্বনায় ফেললেন কেরলের একমাত্র বিজেপি বিধায়ক ওলানচেরি রাজাগোপাল।
অবিলম্বে নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে বৃহস্পতিবার বিধানসভায় প্রস্তাব আনেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। তিনি বলেন, এই নয়া আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের অভূতপূর্ব বিরোধিতা প্রত্য়ক্ষ করছে সারা দেশ। তাঁর দাবি, সংসদে পাশ হওয়া কৃষি আইনগুলি কেবল কৃষক বিরোধী নয়, তা কর্পোরেটদের স্বার্থপূরণে আনা হয়েছে।
এদিকে কেরল বিধানসভায় একমাত্র বিজেপি বিধায়ক রাজাগোপালও বাম সরকারের এই প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিধানসভা অধিবেশন শেষে সংবাদমাধ্যমকে তিরুবনান্তপুরমের নেমম কেন্দ্রের এই বিজেপি বিধায়ক বলেন, হাউসের গণতান্ত্রিক স্পিরিটকে সম্মান জানিয়ে সমর্থন করেছেন। যদিও পরে একটি বিবৃতি দিয়ে ওই বিজেপি বিধায়ক জানান, কেন্দ্রের বিরোধিতা করেননি তিনি। বিধানসভায় এই প্রস্তাবের বিরোধিতাই করেছিলেন। তিনি এও বলেছিলেন যে, কৃষকদের মঙ্গলের জন্য এই কৃষি আইন। কেন্দ্র আলোচনার রাস্তা খোলা রেখেছে।
তাহলে বিধানসভা থেকে কেন ওয়াকআউট করলেন না? বিজেপি বিধায়কের কথায়, বিধানসভার গণতান্ত্রিক স্পিরিটকে সম্মান জানিয়ে পরে প্রস্তাবের পক্ষে মত দিই। তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রে এই ধরনের আপোস হয়েই থাকে। এটা এমন কোনও বড় বিষয় নয়।
অটল বিহারী বাজপেয়ির মন্ত্রিসভায় রেল প্রতিমন্ত্রী ছিলেন কেরলের একমাত্র বিজেপি বিধায়ক রাজাগোপাল। পিনারাই বিজয়ন সরকারের প্রস্তাবের পক্ষে তাঁর এই সমর্থনের সে রাজ্যের বিজেপি সভাপতি কে সুরেন্দারের প্রতিক্রিয়া, আমরা দেখব, উনি বিধানসভায় কী বলেছিলেন। তিনি আরও বলেন, রাজাগোপালের মতো একজন বর্ষীয়ান নেতার দলের বিপরীত দৃষ্টিভঙ্গি আছে বলে মনে হয় না।
এই প্রসঙ্গে আবার কেরল বিধানসভার স্পিকার পি শ্রীরামকৃষ্ণান জানান, বিশেষ অধিবেশনে মৌখিক ভোটে কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ হয়েছে। সেই সময় কয়েকজন বিরোধী বিধায়ক ওয়াক আউট করলেও, রাজাগোপাল করেননি। পরে প্রস্তাবে তিনি সম্মতিও জানান। সবমিলিয়ে কেরলের একমাত্র বিজেপি বিধায়ককে নিয়ে অস্বস্তিতে রাজ্য বিজেপি।

Comments are closed.