প্রিয়াঙ্কা সাধারণ সম্পাদক হওয়ার দিনেই চরম মহিলা বিদ্বেষী মন্তব্য কেরলের কংগ্রেস সভাপতির

সোনিয়া গান্ধী ছিলেন দীর্ঘদিনের কংগ্রেস সভানেত্রী। বুধবারই রাজীব কন্যা প্রিয়াঙ্কাকে দলের সাধারণ সম্পাদক করে উত্তর প্রদেশের দায়িত্ব দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। আর সেদিনই মহিলাদের সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করলেন কেরলের রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি। সিপিএম নেতা এবং কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করতে গিয়ে তাঁকে মহিলাদেরও অধম বলে মন্তব্য করলেন কেরল কংগ্রেস সভাপতি এবং দলের প্রাক্তন সাংসদ কে সুধাকরণ।
সাবরীমালা ইস্যুতে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সমালোচনা করতে গিয়ে নারী বিদ্বেষী মন্তব্য করলেন কেরলের প্রাক্তন সাংসদ তথা কংগ্রেস সভাপতি কে সুধাকরণ।
কেরলের সাম্প্রতিক নানা ইস্যু নিয়ে বাম সরকারের বিরুদ্ধে জোর প্রচার চালাচ্ছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড ডেমোক্রাটিক ফ্রন্ট (ইউডিএফ)। বুধবার কেরলের কাসারগড়ে এমনই এক সভা থেকে বিজয়ন সরকারের সমালোচনায় মুখর হন কেরলের কংগ্রেস সভাপতি। তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্যের বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতি ভালোভাবে সামাল দিতে পারেনি বাম সরকার। সাবরীমালা মন্দির ইস্যুতেও কেরল সরকারকে একহাত নেন রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি। আর সেই সমালোচনার সময় করে বসেন বেফাঁস মন্তব্য। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে মহিলার চেয়েও অধম বলে মন্তব্য করেন। সুধাকরণের কথায়, রাজ্যে অনেকের মতোই তিনিও বিশ্বাস করতেন পিনারাই বিজয়ন একজন সত্যিকারের কাজের মানুষ। কিন্তু বিজয়ন প্রমাণ করেছেন তিনিই এরাজ্যের বড় বিপর্যয়। তিনি আরও বলেন, অন্য সবার মতো তিনিও আস্থা রেখেছিলেন কেরলের পরিবর্তন আনবেন বিজয়ন। কিন্তু এখন তাঁর কাজ দেখে মনে হচ্ছে, একজন মহিলারও অধম পিনারাই বিজয়ন।
ঠিক যেদিন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির (এআইসিসি) সাধারণ সম্পাদকের ভার নিলেন, সেদিনই এক রাজ্যের কংগ্রেস সভাপতি এমন নারী বিদ্বেষী মন্তব্যে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
বছর সত্তরের কে সুধাকরণ ২০০৯ সালে কান্নুরের সাংসদ হন। ২০১৮ সালে রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতির পদে বসেন। সাবরীমালা মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশাধিকারের বিরুদ্ধে বারবার সরব হয়েছেন তিনি। এর আগেও তিনি ঋতুমতী মহিলাদের ‘অপবিত্র’ বলে মন্তব্য করেছিলেন, সাবরীমালার গর্ভগৃহে মহিলারা প্রবেশ করলে অপবিত্র হবেন আয়প্পা দেব।

Comments are closed.