বন্যা ত্রাণে সাহায্যের জন্য কেরল সরকারকে ৩৩ কোটি টাকার বিল পাঠালো ভারতীয় বায়ু সেনা, কেন্দ্রকে তোপ বিজয়নের

অগাস্ট মাসে ভয়াবহ বন্যার সময় বিদেশি সাহায্য নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছিল কেরলের সিপিএম সরকার। কেরলকে বিদেশি সাহায্যের প্রস্তাবে না করেছিল কেন্দ্র। তার সমালোচনায় মুখর হয়েছিল রাজ্যের সিপিএম সরকার। কেরলে সিপিএমের সঙ্গে বিজেপির সংঘাত আরও তীব্র হয়েছে তারপর সাবরীমালা মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশাধিকারের ইস্যুতে। এবার কেরলের বন্যায় সাহায্যের জন্য বায়ু সেনার পক্ষ থেকে ৩৩ কোটি টাকার বিল পাঠানো হল কেরলের সরকারকে। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।
চলতি বছরের অগাস্ট মাসে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে কেরল। প্রায় ২০০ মানুষের প্রাণ হারান সেই বন্যায়। রাজ্য সরকারের হিসেবে, প্রায় ৩১ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে এই বন্যায়। বন্যায় ত্রাণ সামগ্রী পাঠাতে ও দুর্গতদের উদ্ধার কাজে সাহায্য করে ভারতীয় বায়ু সেনা। এয়ার লিফটিং ও অন্যান্য কাজে সাহায্য প্রদানের জন্য কেরল সরকারের কাছে ৩৩ কোটি টাকা বিল পাঠানো হল কন্ট্রোলার অব ডিফেন্স অ্যাকাউন্টের তরফ থেকে। এই বিল পাওয়ার পরে ক্ষুব্ধ কেরল সরকার।
একদিকে যখন রাজ্যের এই নজিরবিহীন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় কেন্দ্রের কাছ থেকে নামমাত্র সাহায্য পাওয়া গিয়েছে, তখন এই বায়ু সেনার সাহায্যের জন্য এই বিল পাঠানোকে মোটেই ভালো চোখে দেখছে না কেরলের সিপিএম সরকার। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের অভিযোগ, এই বিল আসলে কেন্দ্রের তরফ থেকে পাঠানো হয়েছে। যখন রাজ্যের প্রবল আর্থিক সংকটের সময় অতিরিক্ত কোটায় রেশন চেয়ে কেন্দ্রের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে, তখন এই বিল পাঠিয়ে রাজ্যের ঘাড়ে বোঝা আরও ভারি করা হল। বাম সরকার পরিচালিত কেরল কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ এনেছে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, বন্যায় রাজ্যের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩১ হাজার কোটি টাকা, আর কেন্দ্র আর্থিক অনুদান পাঠিয়েছে মাত্র ৬০০ কোটি টাকার। এখন সেই অনুদানের অঙ্ক থেকেই এই বিল পরিশোধ করতে হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহকে অতি শীঘ্র জরুরিকালীন বৈঠকে বসার আর্জি জানিয়েছেন বিজয়ন। এছাড়াও বন্যার পরবর্তী সময়ে কেন্দ্রকে দুটি স্মারকলিপি পাঠায় কেরল সরকার। তাতেও কেন্দ্র কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ করেনি বলে তোপ পিনারাই বিজয়নের।

Comments are closed.