ব্রিটিশ ম্যাগাজিনে বছরের শ্রেষ্ঠ থিঙ্কারের শিরোপা কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী শৈলজার, দ্বিতীয় নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

বিশ্বের প্রথম ৫০ জন থিঙ্কারের তালিকার শীর্ষে বাম শাসিত কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেকে শৈলজা। বলা হয়েছে কেরলে করোনা মোকাবিলায় তাঁর সুচিন্তিত পদক্ষেপে লাভবান হয়েছে রাজ্য। ইংল্যান্ডের ‘‌প্রসপেক্ট ম্যাগাজিন’‌ প্রকাশিত ওই তালিকায় কেরলের স্বাস্থমন্ত্রীর ঠিক পরে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডেন। কয়েক লক্ষ মানুষের ভোটের মাধ্যমে তালিকা প্রস্তুত হয়েছে।

করোনা মোকাবিলায় এর আগেও বিশ্বের দরবারে প্রশংসা কুড়িয়েছেন কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। গত ২৩ জুন রাষ্ট্রসংঘ আয়োজিত পাবলিক সার্ভিস ডের আলোচনা সভায় শৈলজাই ছিলেন একমাত্র ভারতীয় প্রতিনিধি। করোনা অতিমারির বিরুদ্ধে বাম শাসিত কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর প্রশস্তি করে ইংল্যান্ডের ‘‌প্রসপেক্ট ম্যাগাজিন’‌এ লেখা হয়েছে, ২০১৮ সালে দক্ষতার সঙ্গে নিপা ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলা করেছিলেন শৈলজা। ২০২০ সালে করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলাতেও শৈলজা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে কোভিড ১৯ যখন শুধুই চিনে আবদ্ধ ছিল, তখনই কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী পরবর্তী কর্মপন্থা স্থির করে ফেলতে পেরেছিলেন, মোকাবিলার সব উপায়ও ভেবে নিয়েছিলেন, লিখেছে ব্রিটিশ পত্রিকাটি।

কোভিড ১৯ ছড়িয়ে পড়া রুখতে কে কে শৈলজা কীভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরীক্ষাবিধি, চিকিৎসা পদ্ধতি জেনে সেটা কেরলে প্রয়োগ করেছিলেন, কীভাবে ঠিক সময়ে বিমানবন্দরে বিধিনিষেধ আরোপ করেছিলেন এবং চিন থেকে আসা প্রথম রোগীদের পৃথক করেছিলেন সে কথাও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অকুণ্ঠ প্রশংসা করে ‘প্রসপেক্ট ম্যাগাজিন’ আরও লিখেছে, ‌করোনাভাইরাসের হানা আবার ফিরে এসেছে, কিন্তু কেরলে কড়া নজরদারি এবং কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থা তৈরি। মানুষের জন্য যে সব দরকারি বিধি এবং বার্তা মেনে চলতে বলা হচ্ছে, শৈলজা নিজেও তা মেনে চলছেন। তাঁর দফতরের বৈঠক রাত ১০টা পর্যন্ত চললেও সামাজিক দূরত্ব বিধি মানা হচ্ছে এবং নিজের নাতি নাতনিদের সঙ্গেও তিনি জুম ভিডিওকলে যোগাযোগ রেখেছেন।‌

করোনার বিরুদ্ধে পরিকল্পনায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা সম্পর্কেও প্রশংসাসূচক মন্তব্য করা হয়েছে রিপোর্টে। বিস্তৃতভাবে লেখা হয়েছে কীভাবে করোনা সঙ্কটকে আটকে রেখে নতুন করে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার বিকল্প পথ দেখিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। ওই রিপোর্টের তৃতীয় স্থানে আছেন বাংলাদেশের স্থপতি মারিনা তাবাস্সুম।

Comments are closed.