‘কাশ্মীরের রাস্তা পরিষ্কার, ওখান থেকেই মেয়ে আনতে পারি!’ বিতর্কিত মন্তব্য হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী খট্টরের, সর্বস্তরে নিন্দা

জম্মু-কাশ্মীরের উপর থেকে বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর কাশ্মীরি মেয়েদের বিয়ে করার পথ প্রশস্ত হল, রাজ্যের এক অনুষ্ঠানে এমনই মন্তব্য করলেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ার ‘সুবিধা’ বোঝাতে উত্তর প্রদেশের বিজেপি বিধায়ক বিক্রম সাইনির রাস্তা নিলেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির প্রবীন নেতা মনোহরলাল খট্টর।
হরিয়ানার ফতেহাবাদে মহাঋষি ভগীরথ জয়ন্তী সমারোহের অনুষ্ঠানে মোদী সরকারের ‘বেটি বাঁচাও-বেটি পড়াও’ প্রকল্পের সাফল্য নিয়ে ভাষণ দিচ্ছিলেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের কন্যা শিশুর জন্মহার কম বলে চিন্তা প্রকাশ করেন তিনি। এরপরেই তিনি বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রী ও পি ধানকর বলতেন তাঁকে বিহার থেকে পুত্রবধূ আনতে হবে, কিন্তু সবাই এখন বলছে কাশ্মীরের রাস্তা পরিষ্কার, আমরা এখন কাশ্মীর থেকে মেয়ে আনতে পারি’।
কয়েকদিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োতে মুজফফরনগরের খাতৌলির বিজেপি বিধায়ক বিক্রম সাইনিকে বলতে শোনা যায়, জম্মু-কাশ্মীর থেকে বিশেষ মর্যাদা তুলে দেওয়ায় বিজেপির কার্যকর্তারা ভীষণ খুশি হয়েছেন, বিশেষত অবিবাহিতরা। বিজেপি বিধায়ককে বলতে শোনা যায়, এখন যে কেউ উপত্যকায় জমি কিনে ফর্সা ত্বকের কাশ্মীরি মেয়েদের বিয়ে করতে পারবেন। বিজেপি বিধায়কের কুরুচিকর মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেন নেটিজেনরা। এরপর একই মন্তব্য এল হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী ৬৫ বছর বয়সী মনোহরলাল খট্টরের মুখ থেকে। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর অসংবেদনশীল মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে সর্বস্তরে। ট্যুইটে মনোহরলাল খট্টরের মন্তব্যের সমালোচনা করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। নাম না করে খট্টরের মন্তব্যেরই প্রতিবাদ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

Comments are closed.