ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে ডেঙ্গির মশার লার্ভা, দেওয়া হল নোটিস, এক সপ্তাহে ব্যবস্থা না নিলে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি অতীন ঘোষের

আলিপুর ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে মিলল ডেঙ্গির জীবাণুবাহী এডিস ইজিপ্টাই মশার লার্ভা। পুর আইনের ৪৯৬এ ধারায় লাইব্রেরি কতৃর্পক্ষকে নোটিশ কলকাতা পুরসভার। ৭ দিনের মধ্যে লাইব্রেরি ও পার্শ্বস্থ এলাকা পরিষ্কার না করলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ।
সোমবার পুরসভার ‘র‌্যাপিড অ্যাকশন টিম’-কে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় গ্রন্থাগারে যান ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। ন্যাশনাল লাইব্রেরির ভেতর, বেসমেন্টের নীচ থেকে শুরু করে পাইপ, বিভিন্ন বাক্সে জমা জলে ডেঙ্গির মশার লার্ভার সন্ধান পায় পুরসভার টিম। কর্মী আবাসনে এবং পাঠাগারের ৪ নম্বর গেটের কাছে জমা জল ও জঞ্জালের স্তুপ লক্ষ্য করেন পুর কর্মীরা। সেখানেও মেলে মশার লার্ভা। এরপরেই জমা জল ও নোংরার স্তুপ সরানোর জন্য দ্রুত ন্যাশনাল লাইব্রেরিকে পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছে পুরসভা।
সম্প্রতি ন্যাশনাল লাইব্রেরির ৭ কর্মী ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। এরপরেই জাতীয় গ্রন্থাগারের কর্মীদের মধ্যে ডেঙ্গি আতঙ্ক বাড়তে থাকে। গ্রন্থাগারের কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, আগুন নির্বাপণের জন্য দীর্ঘদিন ধরে জল জমিয়ে রাখা হয়েছে, সেটাই আসলে মশা আঁতুড় ঘর। তাঁদের আরও অভিযোগ, প্রতি বছর গ্রন্থাগারের কর্মীরা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। মশা মারার ওষুধ রয়েছে। কিন্তু তা ছড়ানোর লোক নেই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষেরও কোনও হুঁশ নেই বলে অভিযোগ করেন ওই কর্মীরা। এদিকে ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষও অভিযোগ করেন, জাতীয় গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণেই এই অবস্থা। ডেপুটি মেয়র জানান, ন্যাশনাল লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষকে পুর আইনের ৪৯৬এ ধারায় নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ৭ দিনের মধ্যে এলাকা পরিষ্কার না করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে হুঁশিয়ারি দেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ।

Comments are closed.