১২ এপ্রিল কলকাতা ও হাওড়ায় পুরভোট চায় নবান্ন, বৈঠকে রাজ্য নির্বাচন কমিশন

পুরভোটের ঢাকে কাঠি পড়ে গেল। নবান্ন সূত্রের খবর, রাজ্য সরকার এপ্রিল মাসের মধ্যেই পুরভোট সেরে ফেলতে চায়। কলকাতা এবং হাওড়া কর্পোরেশনের ভোট ১২ এপ্রিল করার পক্ষপাতী নবান্ন। বাকি ১১০ টি পুরসভার ভোট এপ্রিলে শেষ সপ্তাহে ২৬ কিংবা ২৭ তারিখে হতে পারে। প্রশাসনের সেই রকমই ইচ্ছা।
আইন অনুযায়ী রাজ্য নির্বাচন কমিশন রাজ্য সরকারের কাছে চিঠি দিয়ে ভোটের দিনক্ষণ জানতে চাইবে। সরকার তাদের মনোভাবের কথা জানালে দুই পক্ষের আলোচনার মাধ্যমে ভোটের চূড়ান্ত দিন ঠিক হবে। তারপর কমিশন ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করবে।
সূত্রের খবর, বুধবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং হাওড়া জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে ভোট নিয়ে। ওই বৈঠকে উত্তর এবং দক্ষিণ কলকাতার নির্বাচনী আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন। সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকদের ভোটের জন্য তৈরি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২৭ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে। নবান্ন এবং কমিশনের নড়াচড়া দেখেই বোঝা যাচ্ছে, পুরভোটের প্রশাসনিক প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল। আর দিন দুয়েকের মধ্যে চিঠি চালাচালির প্রক্রিয়া চালু হতে পারে। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে পুরভোট নিয়ে এক দফা আলোচনা করেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
পুর দফতর সূত্রের খবর, এই দফায় আসানসোল এবং বিধাননগর কর্পোরেশনের ভোট হচ্ছে না। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের আটটি পুরসভা নিয়ে নতুন কর্পোরেশন হবে। এই কর্পোরেশনগুলির ভোট সম্ভবত পুজোর পরে হবে।
আগামী বছর বিধানসভা ভোটের আগে এই বছরের পুরভোট রাজনৈতিক দলগুলির কাছে সেমি ফাইনাল। শাসকদল অনেক আগে থেকেই পুরভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান, যখনই ভোট হোক, তাঁরা প্রস্তুত। তাঁর দাবি, দলের প্রার্থী তালিকাও তৈরি রয়েছে। গত লোকসভা এবং ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের ফলাফলের নিরিখে শাসক তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপি। বামেরা এবং কংগ্রেস তৃতীয় স্থানে রয়েছে। লোকসভা ভোটের ফল থেকে শিক্ষা নিয়ে বাম-কংগ্রেস এ বার পুরভোটে জোট বেঁধে লড়াই করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। পুরভোটে তাঁরা বিশাল কিছু একটা করে ফেলবেন, এমন আশা বাম-কংগ্রেস জোটের নেতারা করছেন না। লোকসভা ভোটে তাদের ভোটপ্রাপ্তি যে তলানিতে এসে ঠেকেছে, তা বাড়ানোই তাদের মূল লক্ষ্য।

Comments are closed.