অসমে নাগরিকপঞ্জির নতুন খসড়া থেকে বাদ গেল আরও লক্ষাধিক নাম। গত বছরের ৩০ শে জুলাই ৪০ লক্ষেরও বেশি মানুষের নাম বাদ গিয়েছিল। বুধবার প্রকাশিত নতুন খসড়ায় দেখা যাচ্ছে, আরও ১ লক্ষ ২ হাজার ৪৬২ মানুষের নাম বাদ গিয়েছে। এই নামগুলো জুলাইয়ের খসড়ায় ছিল, কিন্তু তদন্ত করে দেখা গিয়েছে তাঁরা অযোগ্য।
এনআরসির উদ্দেশ্য, বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী অসমে অবৈধভাবে বসবাস করা মানুষদের চিহ্নিত করা। ২০১৮ সালের ৩০ শে জুলাই এনআরসির প্রথম খসড়া প্রকাশ পায়। সেই খসড়ায় ৪০.৭ লক্ষ লোকের নাম বাদ যাওয়া নিয়ে দেশ জুড়ে বিতর্ক শুরু হয়। মোট ৩ কোটি ২৯ লক্ষ মানুষের মধ্যে খসড়া নাগরিকপঞ্জিতে ২ কোটি ৯০ লক্ষ লোকের নাম উঠেছিল। কারগিল যুদ্ধে অংশ নেওয়া অবসরপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিক মহম্মদ সানাউল্লা, যিনি অবসর গ্রহণের পর অসম পুলিশে আধিকারিক পদে কর্মরত, তাঁরও নাম এনআরসিতে বাদ গিয়েছে, ঠাঁই হয়েছিল ডিটেনশন ক্যাম্পে। যা নিয়ে সেই সময় প্রবল বিতর্কও তৈরি হয়েছিল। দেখা গিয়েছিল, যে সাক্ষ্য প্রমাণের উপর ভিত্তি করে সানাউল্লাকে বিদেশি প্রমাণ করার চেষ্টা করছিল পুলিশ প্রশাসন, তা ভুয়ো। মোদী সরকার বিভাজনের রাজনীতি করছে বলে বারবার অভিযোগ করেছে তৃণমূল। এমন কী সংসদে নিজের প্রথম বক্তৃতায় মঙ্গলবার এনআরসি নিয়ে মোদী সরকারের দিকে তীক্ষ্ণ আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। প্রশ্ন তুলেছেন, নাগরিকপঞ্জির আসল উদ্দেশ্য নিয়ে।
সূত্রের খবর, বুধবারের দ্বিতীয় খসড়া থেকে যাঁদের নাম বাদ গিয়েছে, প্রশাসনের তরফে চিঠি মারফৎ তাঁদের প্রত্যেককে জানানো হবে। তাঁরা ১১ জুলাইয়ের মধ্যে রিজেকশন অর্ডারের সরকারি নথি সহ আবেদন করতে পারবেন। সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে অসমে নাগরিকপঞ্জিকরণের কাজ চলছে। আগামী ৩১ শে জুলাই চূড়ান্ত নাগরিকপঞ্জি বা অসমের নাগরিক তালিকা প্রকাশ করা হবে।
Comments are closed.