শেষ মুহূর্তে বিজেপির বিরুদ্ধে বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগ আনল শিবসেনা, বান্দ্রার পাঁচতারা হোটেলে তোলা হল সেনা ‘বাহিনী’কে

বিজেপির বিরুদ্ধে বিধায়ক কেনা-বেচার অভিযোগ এনে মহারাষ্ট্রে আসর গরম করল শিবসেনা। দলীয় মুখপত্র ‘সামনা’র সম্পাদকীয়তে বৃহস্পতিবার মন্তব্য করা হয়েছে, বিজেপি টাকার থলি নিয়ে শিবসেনার বিধায়কদের পেছনে ঘুরছে। সেই কেনা-বেচা আটকাতেই শিবসেনা নব নির্বাচিত বিধায়কদের বান্দ্রার একটি পাঁচতারা হোটেলে নিয়ে তুলেছে। তার আগে সেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে তাঁর বাড়ি ‘মাতশ্রী’তে দলের বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে কয়েকজন নির্দল বিধায়কও ছিলেন শিবসেনার দাবি। এদিকে বিজেপি নেতৃত্ব রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারির সঙ্গে দেখা করেন এদিন। মহারাষ্ট্রের বিজেপি প্রধান চন্দ্রকান্ত পাতিল বলেন, বিজেপি এবং শিবসেনার মহাজুটি স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। কাজেই এই জোটের সরকার গড়তে কোনও অসুবিধে নেই। আমরা রাজ্যপালের সঙ্গে সরকার গঠন নিয়েই আলোচনা করেছি। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও বিষয়টি দেখছেন। শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত অবশ্য বলেন, বিজেপি নেতারা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছেন বটে, তবে সরকার গড়ার কোনও দাবি জানাননি তাঁরা। সরকার গড়াই যদি মনস্থ করে, তাহলে তো বিজেপি নেতাদের সমর্থনকারী বিধায়কের তালিকা নিয়ে যাওয়া উচিত ছিল। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন জোগাড় করতে পারছে না। এই মুহূর্তে তাদের ক্ষমতার বাসনা ত্যাগ করা উচিত। পাশাপাশি আমাদের বলা উচিত যে তারা সরকার গড়তে পারছে না। অন্যদিকে শিবসেনার সূত্রের খবর, মাতশ্রীতে দলের বৈঠকে উদ্ধব বলেছেন, আমরা যদি মুখ্যমন্ত্রীর পদ না-ই পাই তাহলে ১৫ দিন ধরে সময় নষ্ট করলাম কেন? এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি এদিন বলেন, দেবেন্দ্র ফড়নবিসই দ্বিতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হবেন। বৃহস্পতিবারই ফড়নবিসের সরকারের মেয়াদ শেষ হয়ে গেল। আর দু’ একদিনের মধ্যে সরকার গড়তেই হবে। জোটের দুই শরিকের এই চূড়ান্ত টানাপড়েনের মাঝেই বিজেপি আবার আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ারও হুমকি দিয়ে রেখেছে। শিবসেনা তাতেও বিস্তর চটে রয়েছে বিজেপির উপর। সঞ্জয় রাউত বলেন সংবিধান বিজেপির ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। শিবসেনার বিধায়কদের হোটেলে জড়ো করলেও সঞ্জয় রাউত প্রথম দিকে মানতেই চাইছিলেন না একথা। তিনি বলেন, আমাদের বিধায়কদের কাছে আসার সাহস কারও নেই। কারণ তাঁরা দলের প্রতি ১০০ শতাংশ অনুগত। দলের এক বিধায়ক সুনীল প্রভু বলেন, এই পরিস্থিতিতে বিধায়কদের একসঙ্গে থাকাটাই দরকার। উদ্ধবজি যে সিদ্ধান্ত নেবেন, আমরা সকলেই তা মানতে বাধ্য।

Comments are closed.