রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করলেন শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেস নেতারা, ঘোড়া কেনাবেচা রুখতে দ্রুত সরকার গড়তে চায় তিন দলই
কথা ছিল, রবিবার তাঁরা রাজভবনে যাবেন। কিন্তু শনিবারই শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেসের রাজ্যনেতারা চলে গেলেন রাজভবনে রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারির সঙ্গে দেখা করতে। নেতাদের দাবি, রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁদের কথা হয়েছে রাজ্যের কৃষকদের সমস্যা এবং যুবকদের বেরোজগারি নিয়ে। তবে সূত্রের খবর, সরকার গড়ার বিষয়েও রাজ্যপালের সঙ্গে ওই তিন দলের নেতারা আলোচনা সেরেছেন। রবিবার-সোমবারের মধ্যে তিন দলের তরফে সরকার গঠন নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজ্যপালকে প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে। এনসিপি এবং কংগ্রেস উপমুখ্যমন্ত্রিত্ব পাচ্ছে বলে খবর।
এদিকে এই তিন দলের তৎপরতা যত বাড়ছে, ততই বিজেপি ঘোড়া কেনাবেচায় চেষ্টা এখনও চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ শিবসেনার। দলের মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত বলেন, বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে বলেছেন যে, এই মিলিজুলি সরকার ছ’মাসও টিকবে না, তাতেই পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে বিজেপির মতিগতি। বস্তুত, তিন দলের নেতারাই সরকার গড়া নিয়ে আর সময় নষ্ট করতে চাইছেন না, পাছে বিধায়কদের আর বেশি দিন ধরে রাখা না যায়।
মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহলের খবর, ন্যূনতম সাধারণ কর্মসূচির খসড়া চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। সনিয়া, পাওয়ার, উদ্ধবের অনুমোদন পেলেই তা প্রকাশ্যে আনা হবে। সম্পূর্ণ ভিন্ন মতাদর্শের তিন দল বিজেপিকে ঠেকাতে যে পথে হাঁটছে, তা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা বলেই মনে করা হচ্ছে। তিন দলের জোটকে কটাক্ষ করতে ইতিমধ্যেই মাঠে নেমে পড়েছে বিজেপি। দলের এক কেন্দ্রীয় নেতা শুক্রবার বলেন, এবার কি বেড়ালেও মাছ খাবে না? শুনছি না কি শিবসেনা হিন্দুত্ব ছাড়বে, আর কংগ্রেস সংখ্যালঘু তোষণ ছাড়বে। আরও কত কিছুই দেখতে হবে। ওই তিন দলের তরফে অবশ্য এর কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। নতুন জোটকে খোঁচা দেওয়ার জন্য সামনে আনা হচ্ছে বিনায়ক দামোদর সাভারকরকেও। দীর্ঘদিন ধরে শিবসেনা সাভারকারকে ভারতরত্ন দেওয়ার দাবি করে আসছে। সাভারকরের নাতি রঞ্জিত বলেন, আমি উদ্ধবকে যতটা চিনি, তিনি কখনও হিন্দুত্ব ছাড়বেন না। পাশাপাশি সাভারকরকে ভারতরত্ন দেওয়ার দাবি থেকেও পিছু হটবেন না। কংগ্রেস আবার সাভারকরের তীব্র বিরোধী। কংগ্রেস সূত্রে বলা হচ্ছে, এগুলি কোনও ইস্যুই নয়।
এরই মধ্যে শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত শনিবার জানিয়ে দেন, লোকসভা অধিবেশনের আগে শিবসেনা এনডিএ-এর বৈঠকে যোগ দেবে না। এর থেকেও পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে, শিবসেনা এখন পাকাপাকিভাবে এনডিএ-এর সঙ্গে পাকাপাকি সম্পর্ক ছিন্ন করেই ফেলেছে প্রায়। আগামী ২২ নভেম্বর বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের (বিএ মসি) ভোট। শিবসেনা এবং বিজেপির জোটই বিএমসি চালাচ্ছে। সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতার বলে মেয়র শিবসেনা দলেরই। নতুন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিএমসি-র সমীকরণও পাল্টে যাবে। এই প্রসঙ্গে সঞ্জয় রাউতের মন্তব্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি বলেছেন, নতুন আবহাওয়া আমাদের পুরনো ব্যথা ভুলতে সাহায্য করছে।
এদিকে এই তিন দলের তৎপরতা যত বাড়ছে, ততই বিজেপি ঘোড়া কেনাবেচায় চেষ্টা এখনও চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ শিবসেনার। দলের মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত বলেন, বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে বলেছেন যে, এই মিলিজুলি সরকার ছ’মাসও টিকবে না, তাতেই পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে বিজেপির মতিগতি। বস্তুত, তিন দলের নেতারাই সরকার গড়া নিয়ে আর সময় নষ্ট করতে চাইছেন না, পাছে বিধায়কদের আর বেশি দিন ধরে রাখা না যায়।
মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহলের খবর, ন্যূনতম সাধারণ কর্মসূচির খসড়া চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। সনিয়া, পাওয়ার, উদ্ধবের অনুমোদন পেলেই তা প্রকাশ্যে আনা হবে। সম্পূর্ণ ভিন্ন মতাদর্শের তিন দল বিজেপিকে ঠেকাতে যে পথে হাঁটছে, তা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা বলেই মনে করা হচ্ছে। তিন দলের জোটকে কটাক্ষ করতে ইতিমধ্যেই মাঠে নেমে পড়েছে বিজেপি। দলের এক কেন্দ্রীয় নেতা শুক্রবার বলেন, এবার কি বেড়ালেও মাছ খাবে না? শুনছি না কি শিবসেনা হিন্দুত্ব ছাড়বে, আর কংগ্রেস সংখ্যালঘু তোষণ ছাড়বে। আরও কত কিছুই দেখতে হবে। ওই তিন দলের তরফে অবশ্য এর কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। নতুন জোটকে খোঁচা দেওয়ার জন্য সামনে আনা হচ্ছে বিনায়ক দামোদর সাভারকরকেও। দীর্ঘদিন ধরে শিবসেনা সাভারকারকে ভারতরত্ন দেওয়ার দাবি করে আসছে। সাভারকরের নাতি রঞ্জিত বলেন, আমি উদ্ধবকে যতটা চিনি, তিনি কখনও হিন্দুত্ব ছাড়বেন না। পাশাপাশি সাভারকরকে ভারতরত্ন দেওয়ার দাবি থেকেও পিছু হটবেন না। কংগ্রেস আবার সাভারকরের তীব্র বিরোধী। কংগ্রেস সূত্রে বলা হচ্ছে, এগুলি কোনও ইস্যুই নয়।
এরই মধ্যে শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত শনিবার জানিয়ে দেন, লোকসভা অধিবেশনের আগে শিবসেনা এনডিএ-এর বৈঠকে যোগ দেবে না। এর থেকেও পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে, শিবসেনা এখন পাকাপাকিভাবে এনডিএ-এর সঙ্গে পাকাপাকি সম্পর্ক ছিন্ন করেই ফেলেছে প্রায়। আগামী ২২ নভেম্বর বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের (বিএ মসি) ভোট। শিবসেনা এবং বিজেপির জোটই বিএমসি চালাচ্ছে। সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতার বলে মেয়র শিবসেনা দলেরই। নতুন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিএমসি-র সমীকরণও পাল্টে যাবে। এই প্রসঙ্গে সঞ্জয় রাউতের মন্তব্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি বলেছেন, নতুন আবহাওয়া আমাদের পুরনো ব্যথা ভুলতে সাহায্য করছে।