মাঝেরহাট ব্রিজ নিয়ে নতুন করে আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না রাজ্য সরকার। প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলা হবে প্রায় ৫৪ বছরের পুরনো বেহালার সঙ্গে খিদিরপুর তথা বাকি কলকাতার সংযোগরক্ষাকারী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটি। শুক্রবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বিশেজ্ঞদের রিপোর্ট পাওয়ার পরই মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে সেই স্থানে নতুন ব্রিজ তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, নতুন ব্রিজ তৈরি করতে মোটামুটি এক বছর লাগবে। তবে ব্রিজ ভাঙার কাজ কবে শুরু হবে তা জানা যায়নি এখনও।
পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, ব্রিজ ভেঙে পড়ার ঘটনায় মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল, তার রিপোর্ট জমা পড়েছে। রিপোর্টে পূর্তদফতরের গাফিলতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ২০১৬ সালে সেতুটিতে ফাটল ধরা পড়লেও যান নিয়ন্ত্রণ করা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘পূর্ত দফতর এই ঘটনায় নিজেদের দায়িত্ব অস্বীকার করতে পারে না।’ দোষীদের শাস্তি দেওয়া হবে বলেও এদিন স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে জানা গেছে, ব্রিজে ফাটলের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দফরের মন্ত্রী জানতেন না, কারণ ফাইল চালাচালিতে দেরি হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানান, মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার ঘটনায় মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষেরও গাফিলতি আছে বলে প্রাথমিক রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এবিষয়ে আরও তদন্ত হবে।
মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে নতুন ব্রিজ তৈরি করতে যে সময় লাগবে, তখন বেহালাসহ দক্ষিণ শহরতলি এলাকায় যে যান চলাচলে কিছুটা সমস্যা হবে তা এদিন স্বীকার করে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা করতে বা অন্যান্য বিকল্প পথ চওড়া করে যাতে যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করা যায় সেই জন্য তিনি মেয়র ও পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন। রাজ্যের তরফে এব্যপারে রেলের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। সূত্রের খবর এদিনই বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের মুখ্য সচিব কথা বলেছেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজারের সঙ্গে।
Comments