২০১৯ সালে দেশে বিজেপির বিরুদ্ধে গণভোট হবে, তারপর ঠিক হবে কে প্রধানমন্ত্রীঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

স্বামী বিবেকানন্দের শিকাগো ভাষণের ১২৫ বছর উপলক্ষ্যে তাঁর ভাষণ দেওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, হিন্দুত্ববাদী কিছু সংগঠন হুমকি দিয়ে তা বাতিল করেছে বলে অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী তাঁর পরিবারের লোকও হুমকির স্বীকার হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। শুক্রবার কলকাতায় এক বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালে দেশে বিজেপির বিরুদ্ধে গণভোট হবে। মানুষ বিজেপির বিরুদ্ধে স্পষ্ট রায় দেবে। কারণ, মানুষ যদি একবার কোনও সিদ্ধান্ত নেয়, তবে টাকা, ধর্ম বা ফেক নিউজ দিয়ে তা বদল করা যাবে না। এই মুহূর্তে মানুষ দেশে একটা পরিবর্তন চাইছে।
পাশাপাশি তীব্র আক্রমণ করেন বিজেপির হিন্দুত্বের রাজনীতির। বলেন, দেশে উগ্র, জঙ্গি হিন্দুত্বের রাজনীতি চলছে। জঙ্গি সংগঠনের মতো কাজ করছে হিন্দুত্ববাদী কিছু সংগঠন। এমনকী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর কর্মসূচি পর্যন্ত হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো হুমকি দিয়ে বন্ধ করেছে বলে অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মাত্র ৩১ শতাংশ ভোট পেয়ে একটা দল ২০১৪ সালে দেশে সরকার গড়েছিল। এটা ব্যতিক্রম। বারবার এটা হয় না। কিন্তু তারা ক্ষমতায় আসার পর কী হল? ঔদ্ধত্য, অহমিকা, নোটবন্দি। কৃষক থেকে ছোট ব্যবসায়ী কেউ খুশি নয়। কী হচ্ছে আজ দেশে? এনকাউন্টারের নামে মানুষ খুন করা হচ্ছে। এই সরকার বিভাজনের রাজনীতি করছে।
শুধু বিজেপি বা হিন্দুত্ববাদী কিছু সংগঠনের সমালোচনাই নয়, জাতীয় সংবাদমাধ্যমেরও সমালোচনা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সরকার ফেল করেছে, কারণ দ’জন মিলে দেশ চালাচ্ছে। দেশে কোনও সংঘবদ্ধ কাজের পরিবেশ নেই। কিন্তু জাতীয় চ্যানেলগুলো আজ কী করছে? তারা কি মুখে লিউকোপ্লাস্ট লাগিয়ে বসে আছে? তিনি বলেন, মিডিয়া দেশের একটা শক্তিশালী পিলার। কিন্তু দেশে কেন বিজেপি-মিডিয়া ট্রায়াল চলছে? অসমের নাগরিকপঞ্জি ইস্যু নিয়েও বিজেপি সরকারের সমালোচনা করেন তিনি।
এদিন বিজেপি সম্পর্কে আগাগোড়া আক্রমণাত্মক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ২০১৯ সালে আঞ্চলিক দলগুলি আরও শক্তিশালী হবে। এবং দেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আগে বিজেপি হঠাও, তারপর ঠিক হবে কে সরকার হবে, কে প্রধানমন্ত্রী হবে।

Comments are closed.