বেতন বাড়ছে শিক্ষকদের, বার্ষিক ৩ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট, গ্র্যাচুইটি ৩ লক্ষ, একগুচ্ছ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

স্কুল ও কলেজের আংশিক সময়ের শিক্ষক, চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক এবং অতিথি শিক্ষকদের বেতন বাড়ানোর কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে এই শিক্ষকদের তকমা বদলে এক ছাতার নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। এই তিন প্রকার শিক্ষক নতুন নাম হবে ‘সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক’।
সোমবার হাওড়ার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মমতা ঘোষণা করেন, সংশ্লিষ্ট তিনটি স্তরের শিক্ষকদের যোগ্যতার ভিত্তিতে বেতন কাঠামো ঠিক করা হয়েছে। এছাড়া বার্ষিক ৩ শতাংশ করে ইনক্রিমেন্ট এবং গ্র্যাচুইটির পরিমাণ ১ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে ৩ লক্ষ টাকা করার কথাও ঘোষণা করেন মমতা। এই ‘সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক’দের দু’টি বিভাগে ভাগ করা হবে, ক্যাটেগরি ওয়ান এবং ক্যাটাগরি টু। ইউজিসি নির্ধারিত শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলে তিনি ক্যাটেগরি ওয়ানে পড়বেন। তাছাড়াও এঁদের মধ্যে যাঁদের ১০ বছরের অভিজ্ঞতা আছে তাঁদের মাসিক বেতন হবে ৩০ হাজার টাকা, ১০ বছরের কম অভিজ্ঞতাসম্পন্ন শিক্ষকদের বেতন হবে ২৬ হাজার টাকা। পাশাপাশি, ইউজিসি নির্দিষ্ট যোগ্যতা যাঁদের নেই, অথচ যাঁদের ১০ বছরের বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁদের বেতন ২০ হাজার টাকা করা হবে বলে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। আর ১০ বছরের কম অভিজ্ঞতা থাকলে ক্যাটেগরি টু বিভাগে পড়া এই শিক্ষকদের মাসিক বেতন ১৫ হাজার টাকা করা হবে।
আগে ১০ বছরের উপরে যে শিক্ষকদের অভিজ্ঞতা ছিল, তাঁরা মাসে ২০ হাজার ৪৬৬ টাকা করে পেতেন। আগে ১০ বছরের নীচে কর্মরত শিক্ষকরা পেতেন মাসে ১৪ হাজার ৮৮৪ টাকা। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর ইউজিসি নির্ধারিত শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা শিক্ষকরাই বেশি লাভবান হবেন। অন্যদিকে, এতদিন চুক্তিভিত্তিক অথচ পূর্ণ সময়ের শিক্ষকরা ২৫ হাজার ৯৫৩ টাকা পেতেন। এখানে কোনও ভাগ ছিল না। তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর ইউজিসি যোগ্যতাধারী শিক্ষকদের বেতন এখানেও এক লাফে অনেকটাই বাড়ছে। আর অতিথি শিক্ষকদের বেশিরভাগ ক্লাস পিছু বেতন পেতেন। সেক্ষেত্রে যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা অনুযায়ী এই স্তরের শিক্ষকদের বেতন অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

Comments are closed.