কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ভাষা বৈষম্যের অভিযোগ মমতার, দেশজুড়ে আন্দোলন চান

কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক ভাষাগুলি নিয়ে বৈষম্যের অভিযোগ তুলে বাংলা সহ সারা দেশে আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে চান তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। জয়েন্ট এন্ট্রান্সের প্রশ্নপত্রে ইংরেজি ও হিন্দির পাশাপাশি কেবলমাত্র গুজরাতি ভাষা ব্যবহার করার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বুধবারই তার প্রতিবাদে একাধিক ট্যুইট করেন মমতা। বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে দলীয় সাংসদ, বিধায়ক সহ দলের বর্ধিত ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে তিনি এই ব্যাপারে এই ব্যাপারে বেশ কয়েকটি কর্মসূচিও ঘোষণা করেন।
পরে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের এই বৈষম্যের প্রতিবাদে ১১ নভেম্বর সারা রাজ্যে বেলা ২ টো থেকে ৩ টে পর্যন্ত বিক্ষোভ কর্মসূচি রয়েছে। তিনি চান, এই ইস্যুতে অন্য সব রাজ্যও একযোগে প্রতিবাদ ও আন্দোলন করুক। তৃণমূল নেত্রী বলেন, আমি গুজরাতি ভাষার  বিপক্ষে নই, ওই ভাষা কিছুটা হলেও বলতে এবং বুঝতে পারি। কিন্তু জইয়েন্টের প্রশ্নপত্রে কেন শুধু গুজরাতিকে স্থান দেওয়া হল? বাংলা, ওড়িয়া, কন্নড়, তেলুগু, মারাঠি প্রভৃতি ভাষা কী দোষ করল? বৈঠকে এনআরসি নিয়েও দলের নেতা কর্মীদের জেলায় জেলায় বৈঠক, মিছিল ইত্যদি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।তিনি বলেন, রাজ্যে কিছুতেই এনআরসি করতে দেব না। বিভাজনের জন্যই এসব করা হচ্ছে। একজন নাগরিকের কটি পরিচয়পত্র থাকবে, প্রশ্ন তোলেন তিনি।
১৭ নভেম্বরের আগেই অযোধ্যার বিতর্কিত জমি মামলার রায় ঘোষণা হওয়ার কথা। সে ব্যাপারেও মমতা সকলকে সংযত ও সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। রায় বেরনোর পর নেতাদের কোনও মন্তব্য করতে নিষেধ করা হয়েছে। নেত্রী বলেন, এব্যাপারে কাউকে কথা বলতে হবে না, যা বলার আমিই বলব। জেলা প্রশাসনগুলিকেও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, আগামী সপ্তাহে তাঁর উত্তরবঙ্গ সফর রয়েছে। অযোধ্যা মামলার রায় বেরনোর আগেই মুখ্যমন্ত্রী কলকাতায় ফিরতে চান। ২২ নভেম্বর ইডেনে ভারত – বাংলাদেশ ক্রিকেট খেলাতেও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তিনি হাজির থাকছেন।
ওয়ার্কিং বৈঠকের আগে দলের এসসি,এসটি সাংসদ ও বিধায়কদের সঙ্গে মমতা আলাদা বৈঠক করেন। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরও উপস্থিত ছিলেন। লোকসভা ভোটে কেন ফল খারাপ হল এ নিয়ে বিধায়ক ও সাংসদদের কাছ থেকে প্রশান্ত কিশোর নানা তথ্য জানতে চান।

Comments are closed.