মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: কাল আমাকে ডাকবে, জেলে যেতে ভয় পাই না! সিবিআই নিয়ে বিজেপিকে নিশানা মুখ্যমন্ত্রীর

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সমাবেশ থেকে বিজেপি বিরোধিতার সুর চরমে নিয়ে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, বিজেপির কাছে মাথা নত করব না। তারজন্য যদি আমাকে জেলে পাঠায়, আমি তৈরি। ভাববো দেশ আবার পরাধীন, তাই এটা আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম।

২৮ শে অগাস্টের মঞ্চ থেকে কী বার্তা দেবেন মমতা, তা নিয়ে যখন তুঙ্গে উন্মাদনা ঠিক তখনই বিজেপি বিরোধিতাকে কার্যত চূড়ান্ত স্তরে নিয়ে গেলেন তৃণমূল নেত্রী। বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করে এদিন মমতা অভিযোগ করেন, দেশ দখলের লক্ষ্যে নেমেছে বিজেপি। যেখানেই বাধা পাচ্ছে, প্রথমে টাকা তারপর এজেন্সি লেলিয়ে দিতে দখল করে নিচ্ছে। এবিষয়ে কারও কিছু বলার ক্ষমতা নেই বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। পাশাপাশি তৃণমূলের ১০৭ জনপ্রতিনিধির তালিকা বিজেপির কাছে আছে বলে মুকুল রায়ের দাবিরও পাল্টা জবাব দেন মমতা। বলেন আগে ৭ জনকে নিয়ে দেখাও কত ক্ষমতা। বাংলা প্রতিবাদ করে বলেই এবার বিজেপি বাংলাকে টার্গেট করেছে বলে দাবি তৃণমূল নেত্রীর। তাই বিভিন্ন কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে ভয় পাওয়ানোর খেলায় নেমেছে বিজেপি। এরপরই তিনি বলেন, আজ আমার ভাইকে ডাকছে, কাল আমায় ডাকবে। আমি তৈরি। কিন্তু কিছুতেই বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতির কাছে মাথা নত করব না। মমতার কথায়, জেলে গেলে ভাববো, দেশ আবার পরাধীন হয়েছে। তাই এটা আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম।

এদিন মমতা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, দেশকে আমেরিকার ধাঁচে প্রেসিডেন্সিয়াল ফর্ম অফ ইলেকশনের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। তাঁর প্রশ্ন, এজন্যই কি লক্ষ লক্ষ স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রাণ বলিদান দিয়েছিলেন?

পাশাপাশি এদিন আরবিআই নিয়েও কেন্দ্রের উদ্দেশে তোপ দাগেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, বিভিন্ন সংস্থার মাথায় অবসরপ্রাপ্ত লোককে বসানো হচ্ছে। তাঁদের কি দায়বদ্ধতা, প্রশ্ন তৃণমূল নেত্রীর। তাঁর কথায়, হঠাৎ বলল, ১ লক্ষ ৭৬ হাজার কোটি কেন্দ্র চাইছে, দিয়ে দাও। কার টাকা দিচ্ছে? প্রশ্ন মমতার। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, সব চলে গিয়েছে। এখন দেশ কোনও বিপদে পড়লে, টাকা আসবে কোথা থেকে?

Comments are closed.