তিনি দেশ ও সেনার পক্ষে কিন্তু ‘মোদীবাবু’র বিপক্ষে। মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
এয়ার স্ট্রাইকের পর থেকেই বিভিন্ন জনসভা বা অনুষ্ঠান থেকে মোদী লাগাতার বিরোধীদের আক্রমণ করে চলেছেন। জঙ্গি দমনে তাঁর সরকারই যে সবচেয়ে কার্যকরী, তাও বলে চলেছেন নিয়ম করে। এই প্রেক্ষিতেই বিরোধীদের অভিযোগ নরেন্দ্র মোদী সেনার কৃতিত্বকে সামনে রেখে ভোটের ডিভিডেন্ড পকেটে পুরতে চাইছেন। মঙ্গলবার নবান্ন থেকে মমতার এই মন্তব্যও মোদীর আক্রমণেরই প্রতিক্রিয়া বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জওয়ানদের রক্তের বিনিময়ে কেউ ভোট বৈতরণী পার হবে, সেটা মেনে নেওয়া যায় না। সেনা রাজনীতি করে না। দেশের জন্য লড়াই করে, প্রাণ দেয়। প্রধানমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করে মমতা বলেন, মোদী প্রধানমন্ত্রী পদের লজ্জা। পাশাপাশি দেশের সংবাদমাধ্যমের একাংশকের ভূমিকারও সমালোচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেন এত সেনার মৃত্যু হল? আগাম সতর্কতা থাকা সত্ত্বেও কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া গেল না? যে মানুষই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করছেন তাঁকেই দেশদ্রোহী বা পাকিস্তানি তকমা দেওয়া হচ্ছে। মমতার কটাক্ষ, ‘গান্ধীজিকে যারা খুন করেছে, তাদের কাছ থেকে আমি দেশপ্রেমের কথা শুনব না।‘
মমতার কথায়, তাঁর বাবাও স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। তিনি একবারও দেশের সেনার বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করেননি। তাঁর প্রশ্ন ছিল, পুলওয়ামায় এত জওয়ানের মৃত্যু হল কী করে? কে দায়ী এর জন্য? দেশের ‘সাধারণ মানুষ’ হিসেবে তাঁর সেই তথ্য জানার অধিকার আছে বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, জওয়ানরা দেশের জন্য লড়াই করেন, তিনি তাঁদের পক্ষে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপির বিপক্ষে। বিজেপিকে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ জুটি ‘প্রাইভেট কোম্পানি’তে পরিণত করেছে বলেও আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।