কত গুলি চালাবে, কত জেল ভরবে… সবাই এককাট্টা হলে বিজেপির খেলা শেষ। পার্ক সার্কাস ময়দানের জনসভা থেকে এই বার্তাই দিলেন মমতা ব্যানার্জি। তৃণমূল নেত্রীর কথায়, গোটা দেশে আগুন জ্বলছে, এর দায় বিজেপিকে নিতে হবে। পাশাপাশি তাঁর প্রশ্ন, বিজেপি নাগরিকত্ব দেওয়ার কে? ১৯৮০ সালে জন্ম নেওয়া দলের কাছ থেকে দেশাত্মবোধ শিখতে হবে?
উত্তর প্রদেশে সাম্প্রতিক অশান্তির ঘটনা নিয়েও এদিন মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কটাক্ষ, সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে শেম বলতেও শেম হয়। প্রসঙ্গত, যারা সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করেছে, তাঁদের চিহ্নিত করে প্রতিশোধ নেওয়া হবে বলে বৃহস্পতিবারই জানিয়েছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। মমতার অভিযোগ, বিজেপি প্রত্যেক ভারতীয়ের মধ্যে অনুপ্রবেশকারীর ভূত দেখছে। তাই সবাইকে দেশ থেকে বের করার ছক কষছে। তৃণমূল নেত্রী বলেন, কত লোককে তাড়াবে? এভাবে মানুষ তাড়াতে তাড়াতে একদিন নিজেরাই পালিয়ে যাবে। যত শান্তিতে আন্দোলন হবে, তত ঘুম উড়বে বিজেপির। দাঙ্গা করে গণআন্দোলন হয় না, বিজেপিকে দেখে শিখুন, পার্ক সার্কাস ময়দান থেকে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর।
দেশের স্বাধীনতার জন্য যত মানুষ প্রাণ দিয়েছেন তাঁদের মধ্যে আপনার দলের ক’জন আছে? বিজেপিকে মমতা ব্যানার্জির প্রশ্ন, গান্ধীজি, আবুল কালাম আজাদ, বাবাসাহেব আম্বেডকররা যখন দেশের স্বাধীনতার লক্ষ্যে নাছোড় আন্দোলনে মগ্ন, তখন আপনারা ছিলেন ওঁদের পাশে? এখন আপনাদের কাছ থেকে দেশপ্রেম শিখব?
এদিন নথিপত্র নিয়েও মোদী-অমিত শাহকে তীব্র আক্রমণ শানান মমতা। তিনি বলেন, আমার মায়ের জন্ম সংশাপত্র চাইলে আমি তা দিতে পারব না। কারণ তখন জন্ম শংসাপত্রের চল ছিল না। তারপরেই সরাসরি নরেন্দ্র মোদীকে মমতার প্রশ্ন, আপনি নিজের মায়ের বার্থ সার্টিফিকেট দিতে পারবেন তো?
আগের পদযাত্রা কিংবা জনসভার সুর ধরেই এদিনও মমতা মঞ্চ থেকে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতা করে বিভিন্ন স্লোগান দেন। উত্তর আসে উপস্থিত জনতার কাছ থেকে।