সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সামনেই সজলধারা প্রকল্প নিয়ে পিএইচই ও পঞ্চায়েত দফতরকে তুলোধোনা মমতার

হুগলির গুড়াপে প্রশাসনিক বৈঠকে পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সামনেই সজলধারা প্রকল্প নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার গ্রাম পরিদর্শনে বেরিয়েছিলেন মমতা। সেখানে গ্রামবাসীরা মুখ্যমন্ত্রীকে সজলধারা প্রকল্প নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ করেন। মঙ্গলবার গুড়াপের প্রশাসনিক বৈঠকে গ্রামবাসীদের অভিযোগ তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তাঁর কাছে গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেছেন, সজলধারার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তাঁদের কাছে এনজিও বা লোক লাগিয়ে টাকা তুলছে পঞ্চায়েত। টাকা না দিতে পারলে কেটে দেওয়া হচ্ছে জল সরবরাহ। সংশ্লিষ্ট দফতরের আমলাদের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, এভাবে টাকা চাওয়ার সিস্টেম কবে থেকে হয়েছে? পাশাপাশি সজলধারা প্রকল্প কেন পঞ্চায়েত দফতরের হাতে ছেড়ে দিয়েছে পিএইচই, তা নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। দফতরের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, এই মুহূর্তে সজলধারার কাজ পঞ্চায়েতের হাত থেকে নিয়ে পিএইচইকে করতে হবে। বিকেন্দ্রীকরণের নামে কেন্দ্রীকরণ চলছে বলেও অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকারের পলিসি জলের উপর ট্যাক্স না বসানো। তাহলে কীভাবে গরীব মানুষদের জল পৌঁছে দিতে টাকা চাওয়া হচ্ছে? পঞ্চায়েত দফতর এবিষয়ে বেড়ে খেলছে বলেও এদিন মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশ, পঞ্চায়েত ও মিউনিসিপ্যালিটির ঘাড়ে সব চাপানো চলবে না। যার যেটা কাজ, তাকে সেটাই ভালো করে শেষ করতে হবে।

প্রশাসনিক বৈঠকের মাঝেই আমলা এবং সংশ্লিষ্ট জন প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, এমন যে চলছে তা কেন তাঁর নজরে আনা হয়নি? সোমবার গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা না হলে, তিনি এবিষয়ে জানতেই পারতেন না বলেও জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Comments are closed.