২০২১ সালে রাজ্যে ফের মা-মাটি-মানুষের সরকারই প্রতিষ্ঠা হবে বলে শিক্ষকদের এক সমাবেশে মঙ্গলবার দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বিভিন্ন স্তরের কলেজ শিক্ষক ও অধ্যাপকদের এই সভায় মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষকদের বেশ কিছু আর্থিক দাবি-দাওয়াও পূরণেরও আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি ঘোষণা করেন, আগামী বছরের জানুয়ারি মাস থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের সংশোধিত বেতনক্রম এই রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে কার্যকর করা হবে। এর জন্য প্রতি বছর প্রায় হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। এছাড়া আংশিক সময়ের অধ্যাপক, চুক্তিভিত্তিক অধ্যাপক, অতিথি অধ্যাপকদেরও বেতন আগামী বছর থেকেই ৫ হাজার টাকা করে বাড়ানো হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই সরকার গরিবের সরকার। আমরা অযথা প্রতিশ্রুতি দিই না। যেটুকু পারব, সেটুকুই দেব। যা দিতে পারব না, তা কখনও বলব না। আমাকে বাম জমানার ঋণ মেটাতে জেরবার হতে হচ্ছে। অনেক কষ্টে যেটুকু টাকা যোগাড় করতে পেরেছি, সেটুকুই আপনাদের দিতে পারব। খুব বেশি দিতে পারছি না বলে, হাত জোড় করে ক্ষমা চাইছি।
কলেজ শিক্ষকদের প্রতি তাঁর পরামর্শ, ‘আপনারা কেন্দ্রের মতো বেশি টাকা চাইবেন না। কেন্দ্রের পরিকাঠামো আর রাজ্যের পরিকাঠামো এক নয়। কেন্দ্রের সমান বেতন চাইলে কোথা থেকে দেব?’ তিনি জানান, গত ৮ বছরে রাজ্যে ১ লক্ষ শিক্ষকের চাকরি হয়েছে। স্কুল থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরে শিক্ষকদের বেতন ধাপে ধাপে বেড়েছে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় শিক্ষকরা যে খুব খুশি নন, তা বোঝা গিয়েছে স্টেডিয়ামে উপস্থিত শ্রোতাদের প্রতিক্রিয়ায়। মুখ্যমন্ত্রী বারবারই তাঁদের উদ্দেশ্যে বলেন, কী আপনারা খুশি তো? কারও মুখে তো হাসি দেখতে পাচ্ছি না। আপনারা খুশি হলে আমার ভালো লাগত। যাই হোক যেটুকু পারলাম, সেটুকু দিলাম। আমি ২০১৭ সালে আপনাদের সঙ্গে সভা করেছিলাম, ঠিক করেছিলাম প্রতি বছরই এ ধরনের সভা করব। কিন্তু নানা ব্যস্ততায় করতে পারিনি। আপনাদের সঙ্গে আবার দেখা হবে ২০২১ সালে। এরপরই তিনি দাবি করেন, আগামী বিধানসভা ভোটে তৃণমূলই ফের সরকারে আসছে। কারও নাম না করেই তিনি বলেন, অনেকে অনেক বড় বড় কথা বলছে, তাতে কোনও লাভ হবে না। আপনারা আমাদের পাশে ছিলেন, আগামী দিনেও থাকবেন।
কলেজ শিক্ষকদের প্রতি তাঁর পরামর্শ, ‘আপনারা কেন্দ্রের মতো বেশি টাকা চাইবেন না। কেন্দ্রের পরিকাঠামো আর রাজ্যের পরিকাঠামো এক নয়। কেন্দ্রের সমান বেতন চাইলে কোথা থেকে দেব?’ তিনি জানান, গত ৮ বছরে রাজ্যে ১ লক্ষ শিক্ষকের চাকরি হয়েছে। স্কুল থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরে শিক্ষকদের বেতন ধাপে ধাপে বেড়েছে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় শিক্ষকরা যে খুব খুশি নন, তা বোঝা গিয়েছে স্টেডিয়ামে উপস্থিত শ্রোতাদের প্রতিক্রিয়ায়। মুখ্যমন্ত্রী বারবারই তাঁদের উদ্দেশ্যে বলেন, কী আপনারা খুশি তো? কারও মুখে তো হাসি দেখতে পাচ্ছি না। আপনারা খুশি হলে আমার ভালো লাগত। যাই হোক যেটুকু পারলাম, সেটুকু দিলাম। আমি ২০১৭ সালে আপনাদের সঙ্গে সভা করেছিলাম, ঠিক করেছিলাম প্রতি বছরই এ ধরনের সভা করব। কিন্তু নানা ব্যস্ততায় করতে পারিনি। আপনাদের সঙ্গে আবার দেখা হবে ২০২১ সালে। এরপরই তিনি দাবি করেন, আগামী বিধানসভা ভোটে তৃণমূলই ফের সরকারে আসছে। কারও নাম না করেই তিনি বলেন, অনেকে অনেক বড় বড় কথা বলছে, তাতে কোনও লাভ হবে না। আপনারা আমাদের পাশে ছিলেন, আগামী দিনেও থাকবেন।
Comments are closed.