কেন্দ্রের সাহায্য ছাড়াই রাজ্য বানাবে তাজপুর বন্দর, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। বললেন, অনেক সময় নষ্ট হয়েছে, এবার নিজেরাই করব

দিঘার কাছে তাজপুর বন্দর তৈরির কাজ দ্রুত শুরু করা হবে বলে ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘায় কনভেনশন সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রী দিঘার জন্য একগুচ্ছ প্রকল্প ঘোষণা করেন। তাঁর অভিযোগ, গত ৫ বছর ধরে কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ উদ্যোগে তাজপুর পোর্ট তৈরির কথা হলেও, উদ্যোগ নেয়নি কেন্দ্র। এতে অনেকটা সময় নষ্ট হয়েছে, এবার নিজেরাই করব, বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দিঘায় ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিনা বিচ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে বলে জানান মমতা। সেই সঙ্গে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মতো দিঘাতেও মন্দির তৈরির কথা ঘোষণা করেন তিনি। বলেন, পুরীতে পর্যটকরা বেশি যান, কারণ ওখানে জগন্নাথ দেবের মন্দির আছে। পর্যটনস্থলের সঙ্গে ধর্মীয় স্থান যুক্ত হলে আকর্ষণ বাড়ে, মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, গোয়ার মতো ছোট জায়গায় যদি পর্যটক যেতে পারে, তাহলে এত বড় দিঘায় কেন পর্যটক আসবেন না! দিঘায় পর্যটকদের সুবিধার জন্য ইলেকট্রিক বাস, হেলিপ্যাড, রেলপথের সুবিধার ওপর জোর দিতে বলেন তিনি।
দিঘার কনভেনশন সেন্টার উদ্বোধন করতে গিয়ে দার্জিলিং প্রসঙ্গ টেনে আনেন মমতা। বলেন, দার্জিলিং নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেছিলাম, কিন্তু প্রত্যেক বছর যদি জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয় তাহলে উন্নয়ন কীভাবে হবে? তিনি বলেন, হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হচ্ছে দিঘায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের কর্মসংস্থানের অভাব হবে না। পাশাপাশি প্রকৃতিকে ধ্বংস করলে একদিন প্রকৃতিও প্রতিহিংসা নেবে, বলে জানান মমতা। তাই জল, সবুজ ও বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার কথা বলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, বাম জমানার ৫৬ হাজার কোটি টাকা দেনা কাঁধে নিয়েও যে উন্নয়ন করা যায়, তা প্রমাণ করেছে তাঁর সরকার। বিরোধীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষ, প্রতিযোগিতা হোক কাজের আর উন্নয়নের, দলাদলি, বিভেদ বা ধ্বংসের নয়।

Comments are closed.