কেন্দ্র বিরোধী কৃষক আন্দোলন হাতিয়ার করে ব্যাপক প্রচারে নামছেন মমতা, গান্ধীমূর্তিতে অবস্থান, তৃণমূল ভবনে কৃষক নেতৃত্ব

৪ ডিসেম্বর সিঙ্গুরে অনশনের স্মৃতিচারণা করে সিঙ্ঘু সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তাঁরা যে কৃষকদের পাশেই আছেন তা বোঝাতে এবার মহানগরের রাজপথে নামছে তৃণমূল। 

কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে তিন দিন ধরে অবস্থান কর্মসূচি নিয়েছে মমতার দল। পাশাপাশি শনিবার তৃণমূল ভবনে ডেরেক ও সুদীপ ব্যানার্জির সঙ্গে বৈঠকে কৃষক নেতারা।

কেন্দ্রের কৃষি আইন বিরোধিতায় কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে আগেই দেশব্যাপী আন্দোলনের স্রোত ছড়িয়ে দেওয়ার বার্তা দিয়েছেন মমতা। শুক্রবার তৃণমূলের প্রতিনিধি হিসেবে হরিয়ানা-দিল্লি সীমান্তে কৃষকদের সঙ্গে দেখা করেন ডেরেক ও’ ব্রায়েন। সেখান থেকে মমতার সঙ্গে ফোনে কথাও বলেন একাধিক কৃষক সংগঠনের নেতা। সূত্রের খবর, তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে ফোনে এই আন্দোলন নিয়ে কথা হয়েছে তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের। এবার কৃষক আন্দোলনকে বাংলা সহ সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে আগামী ৮, ৯ ও ১০ ডিসেম্বর গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভের কর্মসূচি তৃণমূলের। ১০ ডিসেম্বর সারাদিন উপস্থিত থাকবেন তৃণমূল নেত্রী। নিজের বক্তব্যে কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর কথা আবার বলবেন মমতা বলে মনে করা হচ্ছে।

এদিকে দেশব্যাপী কৃষক আন্দোলন কীভাবে ছড়িয়ে দেওয়া যায়, তা নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে আলোচনার জন্য শনিবারই কৃষকদের তরফে তিন প্রতিনিধি পৌঁছে গিয়েছেন কলকাতায়। আদতে শিরোমনি অকালি দলের সাংসদ ওই তিনজন হাজির হচ্ছেন কৃষক আন্দোলনের প্রতিনিধি হিসেবে। শনিবার দুপুরে তৃণমূলের দুই সাংসদ, সুদীপ ব্যানার্জি ও ডেরেক ও ও’ব্রায়েনের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন তাঁরা। সবমিলিয়ে হরিয়ানা, পঞ্জাবে কৃষকদের তীব্র আন্দোলন বাংলা সহ সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়াই লক্ষ্য তৃণমূলের।

Comments are closed.