মতুয়ারা এতদিন ধরে আছে, ভোট দিচ্ছে, তাদের আবার নাগরিকত্ব দেওয়ার কী আছে, প্রশ্ন মমতা ব্যানার্জির

মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়ার নামে বিজেপি মিথ্যে প্রচার চালাচ্ছে বলে ফের অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। যাঁরা ১৯৬৪ সালে এ দেশে এসেছেন, ভোট দিয়েছেন, তাঁদের আবার কীসের নাগরিকত্ব নিতে হবে? মধ্যমগ্রামে সিএএ-বিরোধী পদযাত্রার সূচনায় বৃহস্পতিবার এই প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল নেত্রী।
কলকাতা, হাওড়া, পুরুলিয়া, শিলিগুড়ির পর এদিন বারাসতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি ও এনপিআরের বিরোধিতায় পদযাত্রা করেন মমতা। মধ্যমগ্রাম থেকে বারাসত পর্যন্ত পদযাত্রার আগে সভা থেকে তৃণমূল নেত্রী বলেন, নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেওয়ার নামে পাঁচ বছরের জন্য বিদেশি বানিয়ে দেবে কেন্দ্রের এই নয়া আইন। প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তথা মতুয়া সম্প্রদায়ের নেত্রী মমতা বালা ঠাকুরের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, কত সালে বাংলায় এসেছ তোমরা? তিনি জবাব দেন, ‘৬৪ সাল। এরপরে মমতা বলেন, যাঁরা এত বছর ধরে এ দেশে আছেন, ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন তাঁদের আবার কেন নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে হবে। এ সবই বিজেপির ‘চালাকি’। তিনি প্রশ্ন ছোড়েন, পাঁচ বছরের জন্য কেউ বিদেশি হতে রাজি আছেন? সভা থেকে প্রতিক্রিয়া আসে, ‘না, না’।
এর আগে এদিন বিধানসভায় মমতা ঘোষণা করেন, কংগ্রেস বা সিপিএমের সঙ্গে নয়, কেন্দ্রের আইনের বিরুদ্ধে রাজ্যে একাই লড়বেন তিনি। তাই আগামী ১৩ জানুয়ারি দিল্লিতে বিরোধী দলের মিটিংয়েও যাচ্ছেন না। বুধবারের বনধ নিয়ে সিপিএম ও কংগ্রেসকে একযোগে আক্রমণ করেন মমতা। তিনি বলেন, কোনও কোনও রাজনৈতিক দল আন্দোলনের নামে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে। বাসে আগুন লাগিয়ে, রেল লাইনে বোমা রেখে আন্দোলন হয় না। কোনও আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে হলে তবেই পূর্ণতা পায়। তিনি আরও বলেন, কেউ নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসির বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে একটা পক্ষ নিচ্ছে। ধর্মীয় বিভাজনের চেষ্টা করছে। এদের থেকে সাবধানে থাকা উচিত। মমতা বলেন, সবাই বিশ্বাস ও আস্থা রাখুন আমার উপরে। একজন মানুষকেও বাংলা থেকে হটাতে দেব না। এ রাজ্যে এনআরসি কিংবা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কোনওটাই চালু হবে না।

Comments are closed.