ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী পেট্রোল-ডিজেল, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জিনিসের দাম, উৎসবের মরসুমে বিপাকে মধ্যবিত্ত

আশঙ্কাই সত্যি হল। ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী পেট্রোল ও ডিজেলের দাম। গত সপ্তাহে সৌদি অ্যারামকোয় গ্রেনেড হামলার জেরে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের জোগানে ভাটা। সরাসরি যার প্রভাব পড়েছে ভারতের বাজারেও। দিল্লিতে গত ৬ দিনে লিটার প্রতি ১ টাকা ৫৯ পয়সা বেড়েছে পেট্রোলের দাম। আর ডিজেলের দাম বেড়েছে লিটার প্রতি ১ টাকা ৩১ পয়সা।
গত রবিবারই দিল্লিতে লিটার প্রতি ২৭ পয়সা বেড়ে পেট্রোলের দাম ঠেকেছে ৭৩ টাকা ৬২ পয়সায়। আর ডিজেলের দাম বেড়েছে ১৮ পয়সা। দিল্লিতে প্রতি লিটার ডিজেলের দাম এখন ৬৬.৭৪ টাকা। কলকাতায় লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম ৭৬.৫৮ টাকা। ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ৬৯.৩২ টাকা।

গত ১৭ ই সেপ্টেম্বর থেকে ক্রমান্বয়ে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। সাধারণভাবে সৌদি আরবের তেল শোধনাগারে জঙ্গি হামলার জেরে বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ১০ ডলার বাড়লে, ভারতেও লিটার প্রতি ৫ থেকে ৬ টাকা বাড়তে পারে পেট্রোল-ডিজেলের দাম। গত ৬ দিনে যেভাবে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ছে, তাতে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে আমজনতার। কারণ তেলের দাম বাড়লেই পাল্লা দিয়ে বাড়বে জিনিসপত্রের দাম। বাড়তি চাপ পড়বে মধ্যবিত্তের পকেটে।
যদিও আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই তেল সঙ্কট কেটে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছে সৌদি আরব। বিশেষজ্ঞদের মতে তেলের বাজারে এই ধাক্কার প্রভাব কয়েক বছর পর্যন্ত অনুভূত হতে পারে। প্রতি মাসে সৌদি আরব থেকে প্রায় ২০ লক্ষ টন অপরিশোধিত তেল আমদানি করে ভারত। এবছর সেপ্টেম্বরের মধ্যেই প্রায় ১২ লক্ষ টন তেল আমদানি হয়ে গিয়েছে। বাকি তেল সরবরাহের ব্যাপারেও ভারতকে আশ্বস্ত করেছে সৌদি আরব। গত বৃহস্পতিবার ভারতের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান সৌদি আরবের রাজপুত্র আবদুল্লা আজিজ বিন সলমনের সঙ্গে তেল সরবরাহের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু ইতিমধ্যেই যেভাবে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ছে তাতে নাভিঃশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের। অন্যদিকে, সৌদি আরব থেকে প্রতি মাসে গড়ে ২ লক্ষ টন এলপিজি আমদানি করে ভারত। সেই যোগানেও ভাটা পড়েছে।
এশিয়া মহাদেশের মধ্যে ভারত, চিন, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান সবচেয়ে বেশি তেল আমদানি করে সৌদি আরব থেকে। সৌদি আরবে বিশ্বের বৃহত্তম তেল প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে ড্রোন হামলার পরে এই সবকটি দেশই প্রবল চিন্তায় পড়েছে।

Comments are closed.