নন্দীগ্রামে হেরেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা? কী বলছে সংবিধান? আর কার সঙ্গে ঘটেছিল এমন ঘটনা?

২ মে গণনা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তৃণমূলের নবান্নে প্রত্যাবর্তনের ছবিটা পরিষ্কার হয়ে যায়

বাংলায় একুশের মহাযুদ্ধে ২১৩ টি আসন পেয়ে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরছে তৃণমূল। ঘটনার ঘনঘটার দিক থেকে কার্যত এই বিধানসভা ভোট আর পাঁচটা বিধানসভা ভোটের থেকে এক্কেবারে আলাদা।

২ মে গণনা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তৃণমূলের নবান্নে প্রত্যাবর্তনের ছবিটা পরিষ্কার হয়ে যায়। তবে নন্দীগ্রাম থেকে মমতার ভোটে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তের পর থেকে দেশবাসীর নজর ছিল পূর্ব মেদিনীপুরের এই জনপদের দিকে। কিন্তু দিনের শেষে জয়ের হাসি হেসেছেন বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীই। আর এই ফলাফলের পর প্রশ্ন উঠছে, তাঁর দল জিতলেও মমতা ব্যানার্জি যেহেতু পরাজিত, সেক্ষেত্রে তিনি কী তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন?

সংবিধান বলেছে, পরাজিত হওয়ার পরেও মমতা মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন। সংবিধানের ১৬৪(৪) নম্বর ধারা অনুযায়ী, বিধানসভার সদস্য না হয়েও একজন জনপ্রতিনিধি ছ’মাসের জন্য মন্ত্রী হতে পারেন। সেক্ষেত্রে সরকার তৈরির ছয় মাসের মধ্যে তাঁকে যে কোনও একটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতে আসতে হবে।

সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মতে, মুখ্যমন্ত্রীও একজন মন্ত্রী। সংবিধান অনুযায়ী ছয় মাসের জন্য মন্ত্রী হতে পারেন। বিধানসভার সদস্য না হয়েও কেউ মন্ত্রিসভার সদস্য হতে পারেন, কিন্তু তাঁকে ছয় মাসের মধ্যে অন্য কোনও আসন থেকে ভোটে দাঁড়িয়ে জয়ী হয়ে আসতে হবে।

তবে এই ঘটনা মমতা ব্যানার্জির ক্ষেত্রেই প্রথম না। ২০১৭ সালে যোগী আদিত্যনাথ যখন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তখন তিনি বিধায়ক ছিলেন না। শপথ নেওয়ার ছয় মাসের মধ্যে তিনি বিধায়ক হিসেবে জয়ী হয়ে আসেন।
২০১৭ সালে গোয়াতেও মুখ্যমন্ত্রী লক্ষীকান্ত পরেশকার পরাজিত হলেও বিজেপি সরকার তৈরি করেছিল, তাঁকে পরে জিতে আসতে হয়। ২০১৪ তেও একই ঘটনা ঘটে। ঝাড়খণ্ডে বিজেপি জয় পেলেও মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকা অর্জুন মুন্ডা পরাজিত হন।

Comments are closed.