বাজপেয়ীর মৃত্যুদিনে তাঁর কাশ্মীর নীতি স্মরণ করে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে খোঁচা মমতার

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিজেপির অন্যতম প্রাণপুরুষ অটলবিহারী বাজপেয়ীর মৃত্যুদিনে তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী। এবার তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ট্যুইট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ট্যুইটে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীরই বলা কয়েকটি কথার পুনরাবৃত্তি করে কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে খোঁচা দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী সরকারকে।

সম্প্রতি প্রেসিডেন্সিয়াল অর্ডারের প্রেক্ষিতে জম্মু-কাশ্মীরের উপর থেকে বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীরকে ভেঙে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরিরও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে কেন্দ্র। আরও অনেকের মতোই, শুরু থেকেই এই পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, কাশ্মীর বিষয়ে কোনও ফয়সালা হলে, তা কাশ্মীরের মানুষের সঙ্গে কথা বলেই করতে হবে। কিন্তু বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, মোদী-অমিত শাহের সরকার কাশ্মীরিদের সঙ্গে বিন্দুমাত্র কথা বলার প্রয়োজন অনুভব করেননি। এবার অটলবিহারী বাজপেয়ীর মৃত্যুদিনে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর কাশ্মীর নীতির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বর্তমানকে কটাক্ষ করলেন মমতা, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

শুক্রবার সকাল ৭ টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীকে প্রণাম জানিয়ে ট্যুইট করেন। সেই ট্যুইটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, বন্দুক দিয়ে কোনও সমস্যার সমাধান হয় না। সমস্যার সমাধান ইনসানিয়াত, জামহুরিয়াত এবং কাশ্মীরিয়াত, এই ৩ টি নীতির দ্বারা সম্ভব।

ইনসানিয়াত, জামহুরিয়াত এবং কাশ্মীরিয়াতের কথা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে শোনা গিয়েছিল অটলবিহারী বাজপেয়ীর গলায়। উপত্যকায় শান্তি ফেরাতে হলে আগে স্থানীয়দের আস্থা অর্জন অবশ্যম্ভাবী, বারবার তা জানিয়েছিলেন বাজপেয়ী। সেই পথেই কাশ্মীরে শান্তির সন্ধান করেছিলেন তিনি। বাজপেয়ীর দৌত্যের কথা এখনও সম্ভ্রমের সঙ্গে স্মরণ করেন উপত্যকাবাসী। কিন্তু বিজেপিরই শাসনে যখন কাশ্মীরিদের বাদ দিয়ে কাশ্মীর নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তখন দলেরই প্রাণপুরুষের উচ্চারিত শব্দ স্মরণ করিয়ে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ট্যুইট যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

Comments are closed.