বিজেপির রথ যাত্রাকে ‘রাবণের রথ বলে কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর। বললেন, ‘রথ তো নয়, যেন ফাইভ স্টার হোটেল’

একদিন আগেই ঝাড়গ্রামের সভা থেকে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, বিজেপি রামের নয়, রাবণের পুজো করে। বুধবার তাদের রথ যাত্রা নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। বললেন, রথ তো নয়, যেন ফাইভ স্টার হোটেল। বিজেপির রথ যাত্রাকে ‘রাবণের রথ’ বলেও কটাক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই রাবণ রথের পরিক্রমা শেষ হলে, রাস্তা শুদ্ধ করতে ‘পবিত্র যাত্রা’ করার কথা ঘোষণা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার পুরুলিয়ার সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, রাজনৈতিকভাবে ‘রাবণ বধ’ করে রাজ্যে সুস্থিতি ফেরাবে তাঁর সরকার।
এদিন পুরুলিয়ার বলরামপুরের সভা থেকে মমতা বলেন, বিজেপিকে এরাজ্যে পথ চিনিয়ে নিয়ে আসার জন্য দায়ী সিপিএম এবং কংগ্রেস। বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেসকে ‘তিন ভাই’ বলে কটাক্ষ করে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, রাজ্যে শান্তি প্রক্রিয়া বিপর্যস্ত করতে সবসময় সক্রিয় এরা।
বুধবারের সভা থেকে বারবার মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে এসেছে বিজেপি ও সিপিএমের আঁতাতের কথা। তাঁর কথায়, আগে যারা লাল ফেট্টি বাঁধতো, তারাই এখন গেরুয়া ফেট্টি পরে যেন জগাই-মাধাই সেজেছে। অসম থেকে বাঙালি খেদাও, মহারাষ্ট্র থেকে বিহারি খেদাও-বিজেপির লক্ষ্য বলে অভিযোগ মমতার।
তাঁর বক্তব্যে এসেছে পুরুলিয়ার মতো পিছিয়ে পড়া জেলাগুলির কথা। মমতার দাবি, সিপিএমের ৩৪ বছরের শাসন ও তার আগে কংগ্রেস শাসনে পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামের মতো জেলাগুলো উপেক্ষিত ছিল। আদিবাসীদের জীবনযাত্রার মানের উন্নয়ন করা হয়নি। জেলাগুলিতে চিকিৎসা ও পরিবহণ ব্যবস্থা বলে কিচ্ছু ছিল না। অন্ধকার নামলে রাস্তায় বেরোতে মানুষ ভয় পেত আগে। কিন্তু তাঁর সরকার গত ৭ বছরে যথেষ্ট উন্নয়ন করেছে জেলায় জেলায়। ট্যুরিজম শিল্পেও উন্নতি করেছে পুরুলিয়া। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, এরাজ্যের প্রতি বঞ্চনা করছে কেন্দ্র সরকার।
ঝাড়খন্ড থেকে গুণ্ডা এনে এরাজ্যে অশান্তি তৈরি করছে বিজেপি। আগামীদিনে ঝাড়খন্ড ও অসমে তৃণমূল ভোটে লড়বে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
এদিনের সভা থেকে ফের ১১ জানুয়ারির ব্রিগেড সমাবেশের বার্তা দিলেন মমতা।

Comments are closed.