সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ধরনা প্রত্যাহার মমতার। বললেন, এরপর আন্দোলন দিল্লিতে

তিনদিনের মাথায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ধর্মতলার ধরনা প্রত্যাহার করলেন মুখ্যমন্ত্রী। গত রবিবার কলকাতার পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে নজিরবিহীন সিবিআই হানার প্রতিবাদে ধরনায় বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সকালে সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয়, রাজীব কুমারকে গ্রেফতার করা যাবে না। তখনই এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর ধরনা মঞ্চে উপস্থিত হন অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর ধরনা প্রত্যাহার করেন তিনি। তবে জানান, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এই লড়াই জারি থাকবে। এরপর দিল্লিতে হবে আন্দোলন।
এদিন ধরনা মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, সারদা কেলেঙ্কারিতে যুক্ত রয়েছে বিজেপির একাধিক নেতা। ২০১৩ সালে সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেনের লেখা একটি চিঠি হাতে তিনি দাবি করেন, বিজেপি নেতা তথা অসমের বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ৩ কোটি টাকা নিয়েছিলেন সুদীপ্ত সেনের কাছ থেকে। মমতার কটাক্ষ, বিজেপি নেতারা টাকা নিলে কোনও দোষ নেই।
পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ইডি, সিবিআই ইত্যাদি তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহার করে বিজেপি ব্ল্যাকমেল করছে বিরোধী নেতাদের। ভয় দেখানো হচ্ছে, দলে না এলে তদন্তকারী সংস্থাকে লেলিয়ে দেওয়া হবে। নাম না করে তাঁর এক সময়ের ডান হাত মুকুল রায়, যিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁর দিকেই মমতা ইঙ্গিত করেন। ধরনা মঞ্চ থেকে মমতার অভিযোগ, সবাইকে সিবিআই, ইডি দিয়ে ভয় দেখিয়ে দলে নিচ্ছে বিজেপি।
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, রাজ্যের হাতেও তথ্য রয়েছে বিজেপির দুর্নীতি যোগের। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তৃণমূল সরকারের আমলে সারদা চিট ফান্ড তৈরি হয়নি। সারদা সংস্থা তৈরি হয় সিপিএম সরকারের সময়। তাই তাঁদের কোনওভাবেই দায়ি করা যাবে না। তিনি বলেন, তাঁর আমলে ভুঁইফোড় সংস্থা শুরু না হলেও সংস্থার দ্বারা প্রতারিত হওয়া মানুষকে ৩০০ কোটি টাকা ফেরত দেওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁরা। আর তাঁদের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ আনছে বিজেপি।
২০১৫ সালে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি ট্যুইট করে দাবি করেছেন, তাঁর মন্ত্রিসভায় যোগ দেওয়ার অনেক আগের ঘটনা এটি। তিনি সিবিআইকে তদন্তে সাহায্য করেছিলেন।

Comments are closed.