ঋণখেলাপী মেহুল চোকসি ভারতের নাগরিকত্ব ত্যাগ করলেন, আন্টিগুয়ায় জমা দিলেন ভারতীয় পাসপোর্ট

নীরব মোদির সঙ্গে প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা ব্যাঙ্ক জালিয়াতিতে অভিযুক্ত মেহুল চোকসি ভারতের নাগরিকত্ব ত্যাগ করলেন। তদন্তের জন্য ওই গয়না ব্যবসায়ীকে যাতে আর ভারতে ফিরতে না হয় তাই এমন পদক্ষেপ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে অ্যান্টিগুয়া ও বারমুডার নাগরিকত্ব নেন গীতাঞ্জলি গোষ্ঠীর মালিক মেহুল চোকসি। ভারতের সংবিধান অনুসারে, একই সঙ্গে দুটি দেশের নাগরিকত্ব নেওয়া যায় না। তবে ২০১৪ সালে কেন্দ্র নতুন আইন আনে, তাতে বলা হয়, কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে দ্বৈত নাগরিকত্বে অনুমোদন দেবে ভারত। কিন্তু ঋণ খেলাপীর দায়ে অভিযুক্ত হীরে কারবারি মেহুল চোকসি ভারতে তাঁর প্রত্যার্পণ রুখতে শেষ পর্যন্ত ভারতীয় নাগরিকত্ব ত্যাগ করলেন বলে মনে করছে দেশের গোয়েন্দা সংস্থা।
অ্যান্টিগুয়ায় ভারতীয় হাই কমিশনে নিজের ভারতীয় পাসপোর্ট সমর্পন করেন মেহুল চোকসি। সেই সঙ্গে ১৭৭ ডলার জমা দেন তিনি। অ্যান্টিগুয়া দেশের জলি হার্বার মার্কস এখন এই হীরে ব্যবসায়ীর নয়া স্থায়ী ঠিকানা।
মেহুল চোকসি ও তাঁর আত্মীয় নীরব মোদীর বিরুদ্ধে মোট ১৩ হাজার কোটি টাকার ঋণ খেলাপির অভিযোগ করে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক। গত বছরের ২৯ শে জানুয়ারি চোকসি ও তাঁর ভাগ্নে নীরব মোদীর বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের করে সিবিআই। ঠিক এর কিছুদিন পরেই মেহুল ও নীরব মোদী দেশ ছেড়ে পালান। চোকসি অবশ্য প্রথমে চিকিৎসার কারণ দেখিয়ে আমেরিকা যান। সেখান থেকে অ্যান্টিগুয়াতে গিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এর আগে মেহুল বলেন, শারীরিক কারণে তিনি অ্যান্টিগুয়া থেকে ভারতে দীর্ঘ পথ সফর করে তদন্তের স্বার্থে আসতে পারবেন না। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেটের বিরুদ্ধে এক লিখিত অভিযোগ জানিয়ে মেহুল জানান, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা করে দেশের মানুষের কাছে তাঁকে ভিলেন করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়াও তাঁর দাবি ছিল, ব্যাঙ্কের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে, শীঘ্রই ঋণ পরিশোধ করবেন তিনি।

Comments are closed.