নিলামে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে দেওয়া ৯৩ লক্ষের উপহার, নিলামের অর্থ যাবে গঙ্গা সাফাই অভিযানে
প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেওয়া নতুন কিছু নয়। দেশ হোক কিংবা বিদেশ, প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেওয়ার রীতি বহু পুরনো। নরেন্দ্র মোদীও এর ব্যতিক্রম নন। যখনই যেখানে গিয়েছেন, হাসিমুখে স্বীকার করেছেন উপহার। সূত্রের খবর, গত ৯ মাসে প্রধানমন্ত্রী মোদী যা উপহার পেয়েছেন, তার আর্থিক মূল্য ৯৩,৪২,৩৫০ টাকা। এবার এই উপহার সামগ্রীই নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সরকারি আধিকারিকরা। নিলামে যে অর্থ আসবে, তা গঙ্গা সাফাই অভিযানে কাজে লাগানো হবে।
শনিবার ন্যাশনাল গ্যালারি অফ মডার্ন আর্টে (এনজিএমএ) অনুষ্ঠিত হয় নিলামের অনুষ্ঠান। নিলাম থেকে যে টাকা উঠবে তা চলে যাবে কেন্দ্রের নমামি গঙ্গে প্রোজেক্টে। এই নিলামের সঙ্গে যুক্ত সংস্কৃতি মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এবার নিলামের মুখ্য আকর্ষণ মোদীজির ৩৫ টি পোট্রেট। যেগুলো তাঁর অনুগামীরা শেষ ৯ মাসে তাঁকে উপহার দিয়েছেন। সেই ছবিগুলোর মধ্যে যেমন রয়েছে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর মায়ের ছবি, তেমনই রয়েছে মহাত্মা গান্ধী কিংবা সর্দার প্যাটেলের সঙ্গে তাঁর ছবি, আবার কোনও ছবিতে বিদেশ সফররত মোদীজি। ছবি আঁকার ক্ষেত্রেও রয়েছে বৈচিত্র। পোট্রেটগুলোর কোনওটি সোনার পাতের উপর আবার কোনওটি সিল্ক, কাচ কিংবা কাঠের উপর। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীকে অনেকেই গরুর ছোট মূর্তি উপহার দেন, সেই মূর্তিরও নিলাম হবে। স্বামী বিবেকানন্দের একটি মূর্তিকেও নিলামে তোলা হবে বলে সংস্কৃতি মন্ত্রক সূত্রে খবর। পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদীকে হেমা মালিনী, শিবরাজ সিংহ চৌহান, জগন রেড্ডিদের দেওয়া কৃষ্ণ, শিব এবং বালাজির মূর্তিও উঠেছে নিলামে।
ন্যাশনাল গ্যালারি অফ মডার্ন আর্টে একটি নির্দিষ্ট জায়গা করা হয়েছে, যেখানে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে অসম থেকে যে বিপুল উপহার দেওয়া হয়েছে, তা প্রদর্শিত হয়। এছাড়াও মধুবনি শিল্পের ছবিও রয়েছে উপহারের তালিকায়। নিলামে উঠেছে কর্ণাটকের আয়না, শিবাজি এবং রানাপ্রতাপের মূর্তি, রামলীলার তির-ধনুক। মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের জন্য গুগলের তরফে দেওয়া ডুডলও নিলাম করা হবে বলে জানিয়েছে সংস্কৃতি মন্ত্রক। মন্ত্রক সূত্রে খবর, ৫৭৬ টি শাল, ৯৬৪ টি অঙ্গ বস্ত্র, ৮৮ টি পাগড়ি নিলাম হবে। সর্বনিম্ন দাম রাখা হয়েছে ২০০ টাকা। তবে উপহার বিশেষে দাম আড়াই লক্ষ টাকা অবধি পৌঁছতে পারে। আগের বার নিলামে কাঠের তৈরি একটি মোটর সাইকেলের দাম উঠেছিল ৫ লক্ষ টাকা। এবারও আরও বেশি দাম উঠবে বলে নিশ্চিত উদ্যোক্তারা। তাঁদের দাবি, গতবার কেবলমাত্র দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকার মানুষই অংশ নিয়েছিলেন। এবার সারা দেশ থেকে মানুষ অংশ নেবেন।