পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্র নিয়ে উৎকন্ঠা প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র নেই। তাঁর কথায়, কী চলছে পশ্চিমবঙ্গে? বিরোধী দলের সাধারণ অধিকারকে খর্ব করছে শাসক দল। বছরের প্রথম দিন সংবাদসংস্থা এএনআই’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এরাজ্যের প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করে মোদী বলেন, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি কর্মীরা খুন হচ্ছেন। এই হিংসার রাজনীতি অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত। পাশাপাশি, বিরোধীদের মহাজোটকেও কটাক্ষ করেন তিনি।
যদিও নরেন্দ্র মোদীর এই অভিযোগ নস্যাৎ করে পালটা মুখ খুলেছে তৃণমূল কংগ্রেসও। দলের মহাসচিব এবং রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, বাংলায় গণতন্ত্র আছে কী নেই এসব নিয়ে মন্তব্য করা মোদীর মুখে শোভা পায় না। বিজেপি সরকারের জন্যই দেশে গণতন্ত্র ধ্বংস হচ্ছে বলে পাল্টা তোপ দাগেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বলেন, বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশে পুলিশ খুন হচ্ছেন, ত্রিপুরায় পঞ্চায়েত ভোটে ৯০ শতাংশের বেশি আসনে ভোট হয়নি।
দেশে বিজেপি বিরোধী মহাজোট প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে নয়, মানুষের সঙ্গে হবে বিজেপি বিরোধী মহাজোটের লড়াই। তিন রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হারের প্রভাব কি লোকসভাতেও পড়বে? এই প্রশ্নের উত্তরে মোদী বলেন, বিরোধীরা একত্রিত হয়ে দেশকে লুঠ করছে। মানুষ তাদের সমর্থন করবে কিনা সেটা তাদের ওপরই ছেড়ে দেওয়া উচিত। বিধানসভা নির্বাচনের ফল নিয়ে মোদী বলেন, তাঁরা আশা করেননি যে মিজোরাম বা তেলেঙ্গানাতে সরকার গড়বে বিজেপি। আর ছত্তিশগড়কে বাদ দিলে মধ্য প্রদেশ এবং রাজস্থানের ফলাফল তো ত্রিশঙ্কু। তাঁর মতে, ছত্তিশগড় এবং মধ্য প্রদেশে ১৫ বছর বিজেপি শাসনের পর বিরোধী হাওয়া কাজ করেছে। হারের পর্যালোচনা করছে দল। বিধানসভার ফল লোকসভায় প্রভাব ফেলবে না বলেই তাঁর বিশ্বাস। মোদী বলেন, ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের আগেও বিরোধীরা জোটের ভাবনা ভেবেছিল। কিন্তু তা সফল হয়নি। বিরোধী জোটকে কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এঁরা একে অপরের হাত ধরছেন নিজেদের স্বার্থ পূরণের জন্য। একে অপরের পাশে দাঁড়িয়ে শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করাই এই জোটের লক্ষ্য। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা অনেক কথাই বলবেন, কিন্তু শেষ কথা বলবে দেশের মানুষ।
Comments are closed.