বিজেপি কর্মীদের, কংগ্রেস পরিবারের দল, প্রিয়াঙ্কার রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে কটাক্ষ মোদীর

প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে প্রবেশ কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্র রাজনীতিকেই প্রতিষ্ঠা করল, এমনই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার কংগ্রেসকে বিঁধে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজেপি রাজনীতিতে যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কর্মী-সমর্থকদের ইচ্ছে অনুযায়ী, আর কংগ্রেসের যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেয় একটি পরিবার। মোদীর কথায়, বিজেপির কাছে দলই পরিবার আর কংগ্রেসের কাছে পরিবার হল দল। পরিবারতন্ত্র নয়, গণতন্ত্রেই তাঁদের বিশ্বাস বলেই মানুষ বিজেপিকে কাছের ভাবে বলে অভিমত প্রধানমন্ত্রীর।
বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদী মনে করছেন, প্রিয়াঙ্কার কংগ্রেস রাজনীতিতে প্রবেশ আসলে সুবিধাই করল বিজেপির। সুশীল কুমার মোদী বলেন, উত্তর প্রদেশের পূর্বাংশের কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় চাপে পড়বে সপা-বিএসপি জোট। পাশাপাশি, প্রিয়াঙ্কার স্বামী রবার্ট বঢড়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকায়, লোকসভা নির্বাচনে আদতে বিজেপির রাজনৈতিকভাবে লাভই হল বলে মন্তব্য করেছেন এই বিজেপি নেতা।
নীতীশ কুমারের জেডিইউ দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড প্রশান্ত কিশোর বুধবারই প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর রাজনীতি প্রবেশকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে জেডেইউ নেতা বলেন, জাতীয় রাজনীতিতে ছাপ রাখতে কিছুটা সময় লাগবে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর। আগামী দু’তিন বছরের মধ্যেই বোঝা যাবে প্রিয়াঙ্কার রাজনৈতিক বিচক্ষণতা।
অন্যদিকে, প্রিয়াঙ্কার প্রত্যক্ষ রাজনীতির পদার্পণে খুশি এনডিএ’র শরিক শিবসেনা। তাদের বক্তব্য, প্রিয়ঙ্কার এই পদার্পণের অর্থ একটাই। ‘আচ্ছে দিন’ এল কংগ্রেসের। বিজেপির জোটসঙ্গী, শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত বৃহস্পতিবার বলেন, বিগত দু’মাস ধরে তিনি আন্দাজ করছিলেন ‘আচ্ছে দিন’ আসছে কংগ্রেসের। তিন রাজ্যের বিধানসভা ভোটে বিজেপির কাছ থেকে কংগ্রেসের আসন ছিনিয়ে নেওয়ার পরেই তাঁর মনে হচ্ছিল, ‘প্রিয়াঙ্কা’ আসছেন উত্তর প্রদেশের রাজনীতিতে। শিবসেনা প্রধানের কথায়, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে নিয়ে এসে বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।

Comments are closed.