ব্রিগেডের শেষ বক্তা হিসেবে সেলিমের নাম প্রস্তাব করলেন সূর্যকান্ত মিশ্র

রবিবার বামেদের ব্রিগেডে শেষ বক্তা মহম্মদ সেলিম। শনিবার আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে ব্রিগেড সমাবেশের বক্তার তালিকা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়, সেখানে ঠিক হয়েছে সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য ও সাংসদ মহম্মদ সেলিম ব্রিগেড সমাবেশে শেষ বক্তা হিসেবে থাকবেন।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের না থাকায় ব্রিগেডের মতো বড়ো জমায়েতের সমাবেশে কে শেষ বক্তা হবেন, তা নিয়ে সংশয়ে ছিলেন সিপিএম নেতৃত্ব। এবারের ব্রিগেডের মোট বক্তার সংখ্যা ৯ জন। তাঁরা হলেন সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআই এর সুধাকর রেড্ডি, ফরোয়ার্ড ব্লকের দেবব্রত বিশ্বাস, আরএসপির ক্ষিতি গোস্বামী, সিপিআইএমএল-এর দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, সিপিএমের আদিবাসী নেত্রী দেবলীনা হেমব্রম, কানাহাইয়া কুমার ও  সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য ও সাংসদ মহম্মদ সেলিম ।
শনিবার চূড়ান্ত হয়েছে, একদম শুরুতে বলবেন ব্রিগেড সমাবেশের সভাপতি বিমান বসু। তারপর, পরপর বলবেন চার দলের চার সাধারণ সম্পাদক। পাঁচ নম্বর বক্তা দীপঙ্কর ভট্টাচার্য। তারপর বলবেন দেবলীনা হেমব্রম। তারপর, সূর্যকান্ত মিশ্র। সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের পর বলবেন কানহাইয়া কুমার। আর শেষ বক্তা হিসেবে থাকবেন ২০১৫ সালের সিপিএম ব্রিগেড সমাবেশে ঝড় তোলা মহম্মদ সেলিম।
ব্রিগেডের যা প্রস্তুতি হয়েছে, তাতে শনিবার বিকেল পর্যন্ত সিপিএম নেতৃত্ব আশাবাদী, তাঁদের প্রত্যাশাকেও ছাপিয়ে যাবে জমায়েত। দুপুর ১ টায় শুরু হবে মূল সভা। আলিমুদ্দিন স্ট্রিট চাইছে, ২ ঘন্টায় সমাবেশের কাজ শেষ করতে। তার প্রধান কারণ, ব্রিগেডে আসার মানুষের বাড়ি ফেরা এবং দীর্ঘ সময় ধরে সমাবেশ চললে মানুষকে যে টানা মাঠে বসিয়ে রাখা সহজ নয় তাও বুঝতে পারছেন নেতৃত্ব।
সূর্যকান্ত মিশ্র না মহম্মদ সেলিম কে শেষে বলবেন, তা নিয়ে জল্পনা ও প্রশ্ন ছিল দলের মধ্যেই । স্বাভাবিক নিয়মে দলের রাজ্য সম্পাদক হিসেবে সূর্যকান্ত মিশ্রর শেষ বক্তা হওয়ার কথা। কিন্তু, ২০১৫ ব্রিগেডের কথা মাথায় রেখে অনেকই চাইছিলেন শেষে বলুন সেলিম। সূত্রের খবর, শনিবার মিটিংয়ে অনেকেই প্রস্তাব দেন সূর্যকান্ত মিশ্রের শেষে বলার পক্ষে। কিন্তু রাজ্য সম্পাদক নিজেই রবিবারের ব্রিগেডের শেষ বক্তা হিসেবে মহম্মদ সেলিমের নাম প্রস্তাব করেন।

Comments are closed.