ডুরান্ড কাপ ফাইনালে ‘সুহেরে সুরভিত’ মোহনবাগান, ৩-১ গোলে হারাল রিয়াল কাশ্মীরকে

‘সুপারসাব সুহের’। কেরালার স্ট্রাইকার সুহের রাতারাতি নায়ক হয়ে গেলেন মোহনবাগান সমর্থকদের কাছে। ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে রিয়াল কাশ্মীর এফসি কে ৩-১ গোলে হারাল মোহনবাগান। আর এই জয়ের সঙ্গেই ডুরান্ড কাপের ফাইনালে সবুজমেরুন ব্রিগেড। মোহনবাগানের একটি গোল করলেন সালমা চামোরো। পরিবর্তন হিসেবে নেমে জোড়া গোল করলেন কেরালার স্ট্রাইকার ভিপি সুহের।
ম্যাচের প্রথম থেকেই খেলার দখল ছিল মোহনবাগান ফুটবলারদের পায়ে। দুরন্ত খেলছিলেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার বেইতিয়া। অবলীলায় তৈরি করছিলেন একের পর এক আক্রমণ। সুযোগ তৈরি হচ্ছিল। কিন্তু গোল আসছিল না। গোল এল‌ প্রথমার্ধের ৪২ মিনিটে। গুর্জিন্দের সিংহের ক্রস থেকে মোহনবাগানকে এগিয়ে দিলেন সালভা চামোরো। দ্বিতীয়ার্ধেও দাপট সেই মোহনবাগানের। বেশ কিছু গোলের সুযোগ নষ্ট হলো। তবে ম্যাচের শেষ মিনিটে একদম ইস্টবেঙ্গল ম্যাচের কার্বন কপি। সমতা ফিরিয়ে আনল কাশ্মীর। জোরালো হেডে গোল ক্রিজোর।
ম্যাচ গড়ালো অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমেই দুরন্ত গোল করে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন সুহের। কাশ্মীরের বলার মত আক্রমণ বলতে, একটি ক্ষেত্রে গোললাইন থেকে বল বাঁচান মোহনবাগানের স্প্যানিশ স্টপার মোরানতে। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে আবার দুরন্ত গোল করে মোহনবাগানের ফাইনালে ওঠা নিশ্চিত করেন সেই সুহের।
ইস্টবেঙ্গল নির্ধারিত সময়ে শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে ম্যাচ হেরেছে। মোহনবাগান কিন্তু আবার ফিরে এসেছে জয়ের রাস্তায়। স্বাভাবিকভাবেই ভীষণ খুশি মোহনবাগানের স্প্যানিশ কোচ কিবু ভিকুনা। তিনি বলছেন, ‘পুরো ম্যাচে আমরা অনেক ভালো ফুটবল খেলেছি। ফুটবলারদের খেলায় আমি দারুণ সন্তুষ্ট। আর ফিটনেস নিয়েও অনেক প্রশ্ন উঠেছিল, আজ কিন্তু দেখা গেল যত ম্যাচ এগোচ্ছে, মোহনবাগান দল ফিটনেসে উন্নতি করছে।’

Comments are closed.