চাকরির নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার বিজেপি নেতা, নাম জড়াল মুকুলেরও

রেল বোর্ডে সদস্যপদ পাইয়ে দেওয়ার নামে ৪০ লক্ষ টাকা জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার হলেন বিজেপি নেতা, নাম জড়াল মুকুল রায়ের। বুধবার আগাম জামিনের জন্য কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেন মুকুল রায়।
সূত্রের খবর, গত জানুয়ারি মাসে দক্ষিণ কলকাতার প্রভাবশালী বিজেপি নেতা বাবান ঘোষের বিরুদ্ধে আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগ করে সরশুনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শকুন্তলা পার্কের বাসিন্দা সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়। সেই এফআইআরে নাম ছিল বিজেপি নেতা মুকুল রায়েরও। এই অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের নেতা বাবান ঘোষকে তাঁর পাটুলির বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সন্তু গঙ্গোপাধ্যায় নামে ওই যুবকের অভিযোগ, রেল বোর্ডে সদস্যপদ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তাঁর কাছ থেকে ৭০ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়। কয়েক দফায় প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা নেন বিজেপি নেতা বাবান ঘোষ। যুবকের আরও অভিযোগ, ২০১৫ সালে নিজাম প্যালেসে মুকুল রায় তাঁর সঙ্গে বাবানের পরিচয় করিয়ে দেন। এরপর রেল বোর্ডের সদস্যপদ পাইয়ে দেওয়ার নামে বাবান ঘোষ দফায় দফায় তাঁর কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়ের। তিনি জানান, রেলের সদস্যপদ পাওয়ার কাজে তিনি দিল্লিতেও গিয়েছিলেন। এমনকী, তৎকালীন রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভুর আপ্ত সহায়কের সঙ্গেও দেখা করেন। কিন্তু মাসের পর মাস কেটে গেলেও তাঁকে রেল বোর্ডের সদস্য করা হয়নি। অভিযোগ, টাকা ফেরত চাইলে তাঁকে প্রাণে মারার হুমকি দেন বাবান ঘোষ। এরপরই পুলিসের দ্বারস্থ হন বলে জানিয়েছেন সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়। অভিযোগের প্রায় সাড়ে সাত মাস পর অভিযুক্ত বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। বুধবার তাঁকে আলিপুর আদালতে তোলা হলে ২৮ শে অগাস্ট পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে গ্রেফতারি আটকাতে বুধবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মুকুল রায়। সোমবার এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা। এদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, তৃণমূল কাটমানি নিচ্ছে, কিন্তু গ্রেফতার করা হচ্ছে বিজেপি নেতাকে।

Comments are closed.