দিল্লির বাড়িতে গিয়ে মুকুল রায়কে জেরা কলকাতা পুলিশের, দুর্নীতি ও প্রতারণার মামলা নিয়ে চলে জিজ্ঞাসাবাদ

মুকুল রায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তাঁর দিল্লির বাড়িতে পৌঁছে গেল কলকাতা পুলিশ। কলকাতার বড়বাজার থানায় দায়ের হওয়া একটি প্রতারণা ও দুর্নীতির মামলার প্রেক্ষিতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন লালবাজারের আধিকারিকরা। গোটা ঘটনাটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে পাল্টা অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেতা মুকুল।

এর আগে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মুকুল। বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্ট জানায় আগামী ১০ দিন মুকুল রায়কে গ্রেফতার করা যাবে না পাশাপাশি তদন্তের স্বার্থে কলকাতা পুলিশকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করারও নির্দেশ দেওয়া হয় মুকুল রায়কে। তারপরই শুক্রবার সকালে মুকুল রায়ের দিল্লির সাউথ অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে যায় কলকাতা পুলিশের দল। সূত্রের খবর, বেশ কিছুক্ষণ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরও তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়। করা হয় বয়ান রেকর্ড। আবারও তাঁকে জেরার মুখে পড়তে হবে কিনা, তা জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের জুলাই মাসে কলকাতা পুলিশের বড়বাজার থানা কল্যাণ রায়বর্মণ নামে রেলের এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীকে গ্রেফতার করে। তাঁর কাছ থেকে প্রায় ১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত হয়। হাওয়ালার মাধ্যমে তাঁর কাছে এই টাকা এসেছিল বলে জানতে পারে পুলিশ। এই মামলার তদন্তে উঠে আসে মুকুল রায়ের নাম। যার জেরে মুকুল রায়কে সাক্ষী হিসেবে নোটিস পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি পুলিশের কাছে হাজিরা দেননি। তাঁর আইনজীবী কলকাতা পুলিশকে জানিয়েছিলেন, মুকুল রায় দিল্লির বাসিন্দা। তাই আইন অনুযায়ী নিজের এলাকার বাইরে বসবাসকারী ব্যক্তিকে এভাবে ডেকে পাঠানো যায় না। এই প্রেক্ষিতে গত ২৯ শে জুলাই মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন মুকুল রায়। সেই মামলাতেই দিল্লি হাইকোর্ট মুকুল রায়কে গ্রেফতারির নির্দেশ না দিলেও, পুলিশ তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতার নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি আগামী ১০ দিন তাঁকে কলকাতা পুলিশ গ্রেফতার করতে পারবে না, এই রক্ষাকবচও প্রদান করেছে। সেই প্রেক্ষিতেই শুক্রবার সকালে মুকুল রায়ের সাউথ অ্যাভেনিউয়ের বাড়িতে পৌঁছে যায় কলকাতা পুলিশের বিশেষ টিম।

Comments are closed.