শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা, নন্দীগ্রামে শুভেন্দুই ভরসা! ভূমিপুত্র ইস্যুতে মমতাকে জবাব

একসময় যে মমতা ব্যানার্জি নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুর নাম ঘোষণা করেছিলেন নতুন বিধায়ক হিসেবে, সেই দু’জন এখন সম্মুখ সমরে। সম্ভবত জীবনের সবচেয়ে কঠিন লড়াইয়ে শুভেন্দু অধিকারী। মঞ্চে মঞ্চে ভাষণ দিতে দিতে গলা ভেঙ্গেছে। কিন্তু মুখে ক্লান্তির লেশ নেই। নন্দীগ্রামে জীবনের অন্যতম কঠিন ফাইটে ছুটছেন আত্মবিশ্বাসী শুভেন্দু অধিকারী।

সোমবার, যখন প্রতিপক্ষ মমতা ব্যানার্জিও নন্দীগ্রামের পথে, তখন নন্দীগ্রাম জুড়ে রোড শো করলেন শুভেন্দু। এরপর একাধিক জনসভা। অনুগামীদের ভিড়ের কাঁধে চেপে শুভেন্দু ঘোরেন মঞ্চ থেকে মঞ্চে।

সোমবার মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু শুভেন্দুর। বেলা যত বেড়েছে, গরম বেড়েছে পাল্লা দিয়ে। পাঞ্জাবির হাতায় কপালের ঘাম মুছে এগিয়ে গিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী।

এদিন প্রথমে বয়াল ১ নম্বরে সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে পথসভা করেই শুভেন্দুর কনভয় ছোটে বয়াল ২-এ। বেলা ১২ টা থেকে সেখানে পথসভা। দুপুর ৩ টে থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পথ সভা করেন ভেটুরিয়ায়। এরপরেই তিনি চলে যান জয়কালীতে। সেখানে বিকেন ৪ টে থেকে ৫ টা পর্যন্ত পথসভা করার পর শেষ পথসভা করেন ঘোলেপুকুরে। বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সেই পথসভায় ছিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী।
প্রতিটি সভাতেই শুভেন্দু আক্রমণ শানিয়েছেন তাঁর একদা নেত্রীর দিকে। খোঁচা দিয়ে বলেছেন, আমার আপত্তি মাননীয়াকে নিয়ে নয় বরং তাঁর তোষণের রাজনীতি নিয়ে।

শুভেন্দু বলেন, বাংলার ছেলে মেয়েরা চাকরি চায়। আপনি প্রতিশ্রুতি দিয়ে একটি চাকরি দিতে পারেননি। শুভেন্দু বলেন, বিজেপি ক্ষমতায় এসে বেকার যুবকদের চাকরির ব্যবস্থা করবে।

ইতিমধ্যেই একই এলাকার অন্য প্রান্ত থেকে মমতা ব্যানার্জি হুঙ্কার দিয়েছেন, এখানেই দাঁড়াব এবং জিতব। খোঁচা দিয়েছেন শুভেন্দুর ভূমিপুত্র দাবিকেও। জয়কালীর সভা থেকে তার উত্তর দেন শুভেন্দু। বলেন, আমি স্থানীয় ছেলে এখানেই থাকব, যাঁরা উড়ে এসেছেন উড়ে চলে যাবেন। শুভেন্দু ফের দাবি করেন, প্রথম দফার ৩০ আসনের মধ্যে ৩০ টি আসনই পাবে বিজেপি।


আর মমতা ব্যানার্জি যখন বিজেপি প্রার্থীকে নিশানা করছেন পায়ে আঘাত দেওয়ার জন্য তখন শুভেন্দুর পাল্টা আক্রমণ, পায়ে ক্রেপ ব্যান্ডেজ পড়ে ঘুরে বেড়িয়ে ভোট কিনতে চাইছেন। ওঁর পায়ে কিছুই হয়নি। সব মিথ্যে কথা।


মমতা ব্যানার্জিকে বেগম নামে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, নিমতার ঘটনা একটি জাতীয় ইস্যু হয়ে উঠেছে। ৮৫ বছরের বৃদ্ধাকে মেরেছে বেগমের গুন্ডারা।

এদিন বেশ কয়েকটি জায়গায় তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় শুভেন্দু অধিকারীকে। তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে গো ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

Comments are closed.