নোট বাতিলের পর জাল নোট বাজেয়াপ্তের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে! এক নম্বরে গুজরাত, জানাচ্ছে এনসিআরবি রিপোর্ট
২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছিল। এক লহমায় বাতিল করে দেওয়া হয়েছে পুরনো ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট। কেন্দ্রের দাবি ছিল, এর ফলে দেশকে কালো টাকা এবং জাল নোটের হাত থেকে মুক্ত করা যাবে। কিন্তু তথ্য বলছে, কেন্দ্রের নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের পর যে নতুন নোট বাজারে আনা হয়েছে তাতেও ব্যাপক আকারে বেড়েছে জাল নোটের সংখ্যা। নোট বাতিলের পর প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে জাল নোট উদ্ধারের পরিমাণ।
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর তথ্য বলছে, ২০১৭ সালে মোট ২৮ কোটি টাকার জাল নোট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, যা তার আগের বছর ছিল ১৫.৯ কোটি টাকার। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে নোট বাতিলের পর বাজারে যে নয়া ২০০০ টাকার নোট আনা হয়েছিল ২০১৭ সালে সেই ২০০০ টাকার নোটে মোট ১৪.৯৭ কোটি টাকার জাল নোট বাজেয়াপ্ত হয়েছে। ২০১৭ সালে মোট ৩ লক্ষ ৫৫ হাজার ৯৯৪টি বিভিন্ন মূল্যের জাল নোট বাজেয়াপ্ত হয়। যা ২০১৬ সালের থেকে প্রায় ২৬ শতাংশ বেশি। উদ্ধার হওয়া এই নোটগুলির মধ্যে ৬৫ হাজার ৭৩১ টি নোট পুরনো ১০০০ টাকার। ১ লক্ষ ২ হাজার ৮১৫টি নোট ছিল পুরনো ৫০০ টাকার। নতুন ৫০০ টাকার নোট ছিল ৮৮৭৯ টি এবং ১০০ টাকার পুরনো নোট ৯২ হাজার ৭৭৮টি।
পাশাপাশি, ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর তথ্য বলছে, নোট বাতিলের ফলে শুধুই যে জাল টাকা উদ্ধারের পরিমাণ বেড়েছে তাই নয়, প্রায় ৪৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যাংকের মাধ্যমে সন্দেহজনক লেনদেনের পরিমাণও।
জাল নোট উদ্ধারের ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি এগিয়ে রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী রাজ্য গুজরাত। ৯ কোটি টাকার জাল নোট উদ্ধার হয়েছে এই রাজ্য থেকে। তারপরেই রয়েছে দিল্লি সেখানে উদ্ধার হয়েছে ৬.৭ কোটি টাকার জাল নোট। এর পর রয়েছে উত্তর প্রদেশ এবং তারপর পশ্চিমবঙ্গ।