আর্থিক মন্দার ব্যাপক প্রভাব পড়ছে ভারতে, সতর্কবার্তা ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফান্ডের (আইএমএফ) প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিভার।
গাড়ি শিল্প থেকে বিস্কুট কারখানা, প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে আর্থিক মন্দা দেশকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলছে। গত ৬ বছরের মধ্যে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার সর্বনিম্ন হয়েছে। ভারতে আর্থিক মন্দার আঁচ কতটা ভয়াবহ তা উঠে এল ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফান্ডের (আইএমএফ) প্রধানের এক বার্তায়।
আইএমএফের নতুন ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্রিস্টালিনা জর্জিভা জানালেন, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। যার ফলে চলতি বছরেই বিশ্বের ৯০ শতাংশ অংশে অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি শ্লথ হয়ে যাবে। আর এই মন্দার ধাক্কা সবচেয়ে জোরালো হয়েছে ভারতের মতো বৃহত্তম উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলিতে।
ভারতের আর্থিক মন্দা নিয়ে এমন এক সময়ে আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিভা সাবধানবাণী শোনালেন, যখন গত তিন মাসে ভারতের জিডিপি নেমে এসেছে ৫ শতাংশে। যা ২০১৩ সালের পর সর্বনিম্ন। মঙ্গলবার ক্রিস্টালিনা জর্জিভা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, বিশ্বের ৯০ শতাংশ দেশেই ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে বৃদ্ধির হার আরও নিম্নমুখী হবে। আর ভারতের ক্ষেত্রে সেই হার হবে আরও নিম্নগতির। আইএমএফ জানিয়েছে, যা আশা করা গিয়েছিল তার চেয়েও দুর্বল হয়েছে ভারতের অর্থনীতি। আইএমএফ প্রধান বলেন, বছর দুয়েক আগেও বিশ্ব অর্থনীতিতে একটা সুসংহত বৃদ্ধি ছিল। বিশ্বের প্রায় ৭৫ শতাংশ দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ঊর্ধ্বমুখী। কিন্তু এখন সেই হার এখন অনেকটাই নিম্নগামী। চলতি বছরে মধ্যে আর্থিক বৃদ্ধির হার আরও তলানিতে ঠেকবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ক্রিস্টালিনা জর্জিভা। তিনি এও জানান, আমেরিকা, জার্মানির মতো দেশগুলিতে বেকারত্বের বৃদ্ধির হার সুস্পষ্ট হয়েছে। আমেরিকা, জাপানের মতো অর্থনৈতিকভাবে মজবুত দেশগুলোও মন্দার কোপে পড়েছে। আর ভারত, ব্রাজিলের মতো বৃহত্তম উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলিতে মন্দার প্রকোপ আরও প্রকট হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন আইএমএফের ম্যানেজিং ডিরেক্টর। সেই সঙ্গে আমেরিকার সঙ্গে চিন, ভারত ও ইরানের মতো দেশগুলিতে শুল্ক যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যেও খরা দেখা দিচ্ছে। তাই মন্দার প্রকোপ থেকে বাঁচতে সব দেশকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিভা।
Comments