কৃষকদের হাতে ব্যাঙ্ক ঋণ সহ সরকারি সুবিধা পৌঁছে দিতে রাজ্যের নয়া উদ্যোগ

কৃষকরা যাতে সহজে ব্যাঙ্ক ঋণ পান, সরকারি প্রকল্পের সুবিধা সহজে তাঁদের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়, তার জন্য ফার্মার্স প্রোডিউসার কোম্পানিজ (এফপিসি) বা ফার্মার্স প্রোডিউসার অর্গানাইজেশনস (এফপিও) তৈরি করছে রাজ্য সরকার। এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য, কৃষিজ পণ্যের উৎকর্ষতা বৃদ্ধি, সুলভে কীটনাশক ও সার পাওয়ার জন্য কৃষকদের সহয়তা করা এবং তাঁদেরকে নয়া প্রযুক্তির সুবিধা দেওয়া।
বর্তমানে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, দুই মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বীরভূম, হুগলি, উত্তর দিনাজপুর, জলপাইগুড়িতে এই এফপিসি ও এফপিও তৈরি করা হচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে অন্যান্য জেলাতেও কৃষক সহায়ক এই ‘কোম্পানি’ তৈরি করা হবে। প্রথমে ১০ থেকে ১২ জন কৃষকদের নিয়ে একটি গোষ্ঠী তৈরি হবে। সেখানে কোনও পরিবার থেকে একজনই সদস্য থাকতে পারবেন। এই গোষ্ঠীর নাম ফার্মার ইন্টারেস্ট গ্রুপ (এফআইজি)। এই এফআইজির সদস্য হতে গেলে কমপক্ষে ১ হাজার টাকা দিতে হবে এবং ৫০ টাকা দিয়ে নিজের নাম রেজিস্ট্রি করাতে হবে। একটি গ্রামের মধ্যে একাধিক এফআইজি থাকতে পারে। প্রত্যেক এফআইজিতে একজন সভাপতি, একজন সম্পাদক ও একজন কোষাধ্যক্ষ থাকবেন। প্রত্যেক এফআইজি সদস্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকাটা আবশ্যিক। এফআইজি গঠনের প্রথম বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে মাস প্রতি প্রত্যেক সদস্য কত টাকা চাঁদা দিতে পারবেন। এরপর প্রত্যেক এফআইজি থেকে ২ জন করে সদস্যদের নিয়ে গড়া হবে ক্লাস্টার গ্রুপ। ব্লক ভিত্তিক এই গোষ্ঠীতেও থাকবে একজন করে সভাপতি, সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ। এইরকম প্রতি ক্লাস্টার গ্রুপ থেকে ১১ থেকে ১৫ জন সদস্য নিয়ে তৈরি হবে এক একটি এফপিসি বা এফপিও। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলায় এইরকম ১৬০ টি কোম্পানি তৈরি হয়ে গিয়েছে বলে রাজ্যের কৃষি দফতর সূত্রে খবর। এর মধ্যে পূর্ব বর্ধমানের একটি গোষ্ঠী সুগন্ধী দেহরাদুন চালের চাষ সাফল্যের সঙ্গে শুরুও করে দিয়েছে।

 

Comments are closed.