পড়ার পাশাপাশি ব্যবসা, ৫ শতাংশ গ্রেস নম্বর, হাজিরায় ছাড় ২০ শতাংশ, রাজ্যের নয়া পরিকল্পনা পড়ুয়া-উদ্যোগপতিদের উৎসাহ দিতে

পড়তে পড়তে ব্যবসা করলে কলেজ পড়ুয়ারা মার্কশিটে পাবেন পাঁচ শতাংশ নম্বর গ্রেস। ক্লাসে হাজিরার ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি থাকবে না। ব্যবসায় পুরোপুরি নিয়োজিত হলে, স্নাতকস্তরে পাঠক্রম শেষ করতে বাড়তি একবছর সময় দেবে রাজ্য সরকার। সম্প্রতি এমনই খসড়া তৈরি করেছে রাজ্যের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতর।
চাকরির ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা তৈরি হওয়ার কারণে কেন্দ্র ও রাজ্য দু’তরফই ছোট ও ক্ষুদ্র ব্যবসা করার জন্য যুব সম্প্রদায়কে উৎসাহ দিচ্ছে। অল্প বয়স থেকেই যাতে ব্যবসার প্রতি ঝোঁক বাড়ে, ব্যবসায় নিজেদের হাত পাকিয়ে নিতে পারেন যুবক-যুবতীরা, এবার তার জন্য অভিনব উদ্যোগ রাজ্য সরকারের।

রাজ্যের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতর সম্প্রতি ইন্টেলেকটুয়াল প্রপার্টি রাইটস পলিসির খসড়া তৈরি করেছে। যাতে বলা হয়েছে, কোনও পড়ুয়া যদি পড়াশোনার পাশাপাশি ব্যবসা করতে আগ্রহী হন তবে, স্নাতকস্তরের মার্কশিটে মিলবে ৫ শতাংশ গ্রেস নম্বর। ব্যবসায়ী পড়ুয়াদের কলেজে উপস্থিতির ক্ষেত্রেও ছাড় দেওয়া হবে। কলেজে হাজিরার ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় পাবেন তাঁরা। পাশাপাশি কোনও পড়ুয়া ব্যবসায় সম্পূর্ণ মনোনিবেশ করলে তাঁকে কোর্স শেষ করতে অতিরিক্ত একবছর সময় দেওয়া হবে।
নিজেদের উদ্ভাবনী শক্তির সাহায্যে অনেক পড়ুয়াই নতুন নতুন জিনিস আবিষ্কার করেন। তাঁদের সেই উদ্ভাবনী শক্তির যথার্থ মূল্যায়ন করে বাণিজ্যিকভাবে কাজে লাগানোর জন্য পড়ুয়াদের সুবিধা দিতে চেয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতর। নতুন খসড়ায় বলা হয়েছে, নতুন চিন্তা-ভাবনা নিয়ে ব্যবসা করা বা স্টার্ট আপ বিজনেস করার জন্য পড়ুয়া ‘ব্যবসায়ী’দের প্রয়োজনে আর্থিক সহায়তা দেবে রাজ্য।
ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে চাকরির বাজার। তাই স্টার্ট আপ বিজনেসে ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহ দিতে রাজ্য সরকারের তরফে এই পরিকল্পনা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতর সূত্রে খবর, পড়াশোনার ফাঁকে নয়, যাতে ব্যবসায় পুরোপুরি মনোনিবেশ করতে পারেন উদ্যোগীরা, সেজন্য কলেজ থেকেই তাঁদের পাশে দাঁড়াতে হবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতরের ওই খসড়া নীতিতে বলা হয়েছে, ব্যবসায় দিশা দিতে রাজ্যের ই-গভর্নমেন্ট প্লেসগুলোকেও কাজে লাগানো হবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতর সূত্রে খবর, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এই নীতি চূড়ান্ত হবে।

Comments are closed.