নির্ভয়া কাণ্ডে জারি মৃত্যু পরোয়ানা, ৩ মার্চ সকাল ৬ টায় ফাঁসি ৪ অভিযুক্তেরই, জানিয়ে দিল আদালত

২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে নির্ভয়ার ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডে চার দোষী পবন গুপ্তা, বিনয় কুমার শর্মা,মুকেশ সিংহ ও অক্ষয় ঠাকুরের ফাঁসির নির্দেশ দেয় সোমবার পাতিয়ালা হাউস কোর্ট। গত ২ ফেব্রুয়ারি তাদের ফাঁসি কার্যকর না হওয়ার পর দিল্লি সরকার ও নির্ভয়ার বাবা-মা দোষীদের দ্রুত ফাঁসির নির্দেশ কার্যকরের আর্জি জানান। দীর্ঘ সাত বছরের মধ্যে এই নিয়ে তৃতীয় বার দোষীদের ফাঁসির নির্দেশ দিল আদালত।
এদিন আদালতে চার দোষীর মধ্যে বিনয় কুমার শর্মার মানসিক সমস্যার কথা তুলে ধরেন তার আইনজীবী। এর আগে দায়রা বিচারপতি ধর্মেন্দ্র রানাকে জানানো হয়, তিহাড় জেলের ভিতরে অনশনের ফলে অসুস্থ হয়ে পড়েছে বিনয়। এই অবস্থায় তার ফাঁসি কার্যকর করা উচিত নয়। অন্যদিকে আর এক দোষী অক্ষয়ের আইনজীবী জানান, তাঁরা নতুন করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানাচ্ছেন। আর মুকেশ জানায়, তার আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভারকে পরিবর্তন করতে হবে। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত আইনজীবী রবি কাজিকে চটজলদি দায়িত্ব দেয়। এদিকে তিহার জেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চারজনের মধ্যে তিন দোষীর সমস্ত আইনি বিকল্প শেষ হয়ে গিয়েছে। এরপরেই দোষীদের আইনজীবীর সওয়াল শোনার পর আগামী ৩ মার্চ সকাল ৬ টায় তাদের ফাঁসির নির্দেশ দেয় পাতিয়ালা হাউস কোর্ট।
পাতিয়ালা হাউস কোর্টে এর আগের শুনানিতে পবন গুপ্তার আইনজীবী নিজেকে ইচ্ছাকৃতভাবে মামলা থেকে সরিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন নির্ভয়ার মা আশা দেবী। তাঁর আরও অভিযোগ ছিল, এ ভাবে বিচার প্রক্রিয়াকে দীর্ঘ করা হচ্ছে।

তবে এদিনই আদালতের রায়ের পর দোষীদের এক আইনজীবীর দাবি, এক দোষী এখনও রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেনি। তাই সে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলে ফাঁসি ফের পিছিয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন আইনজীবীদের একাংশ।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে দিল্লির প্যারা মেডিক্যাল ছাত্রী নির্ভয়াকে গণধর্ষণ ও খুন করা হয়। চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি চার অপরাধীকে ফাঁসির নির্দেশ দেয় আদালত। প্রথমে ফাঁসি কার্যকরের তারিখ দেওয়া হয় ২২ জানুয়ারি। পরে বিচার প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন জটিলতার কারণে তা পিছিয়ে ২ ফেব্রুয়ারি করা হয়।

Comments are closed.