শুধু উত্তর প্রদেশই নয়, দেশের ৫ রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীদের আয়কর জমা করে সরকার, জানেন কোন ৫ রাজ্য?

শুধু উত্তর প্রদেশই নয়, দেশের আরও ৫ টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং অন্যান্য মন্ত্রীদের আয়কর দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট রাজ্যের ভাঁড়ার থেকেই। দীর্ঘদিন ধরেই এই নিয়ম মানা হয়ে আসছে মধ্য প্রদেশ, ছত্তিসগঢ়, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশে।

গত ১৩ ই সেপ্টেম্বর দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর প্রদেশের ট্রেজারি ১৯৮১ সাল থেকে রাজ্যের সমস্ত মুখ্যমন্ত্রী এবং অন্যান্য মন্ত্রীদের আয়কর জমা দিয়ে আসছে। ভিপি সিংহের আমলে এই সংক্রান্ত আইন পাশ হয়। সেই সময় বলা হয়েছিল মন্ত্রীরা এতটাই দরিদ্র যে তাঁদের আয়ের উপর আয়কর দিতেও তাঁরা পারেন না। এই প্রতিবেদন প্রকাশের পরেই তা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। এমন বিতর্কিত সংস্থান বাতিল করার কথা ঘোষণা করেন যোগী আদিত্যনাথ।

যে ৫ টি রাজ্যের মন্ত্রিসভার আয়কর সরকারি ভাঁড়ার থেকে জমা করা হয়, তাদের মধ্যে অন্যতম হরিয়ানা এবং হিমাচল প্রদেশে এই নিয়ম কার্যকর হয় ১৯৬৬ সালে। সেই বছরই পঞ্জাবকে ভাগ করে এই দুটি রাজ্য তৈরি হয়। অর্থাৎ জন্মলগ্ন থেকেই এমন ধারা চলে আসছে বর্তমানে বিজেপি শাসিত এই দুই রাজ্যে।

২০১৮ সালের ১৮ ই মার্চ পর্যন্ত পঞ্জাবেও একই নিয়ম চলছিল। কিন্তু ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহ ক্ষমতায় এসে আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনীর মাধ্যমে সেই নিয়ম বন্ধ করেন।

উত্তরাখণ্ডের ট্রেজারি মুখ্যমন্ত্রী, অন্যান্য মন্ত্রী, বিধানসভার স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার এবং বিরোধী দলনেতার আয়কর জমা দেয়। ২০০০ সালের ৯ ই নভেম্বর উত্তর প্রদেশ ভেঙে তৈরি হয় উত্তরাখণ্ড। সেই সময় থেকেই এই নিয়ম চলে আসছে। যদিও জন্মের পর ৮ জন মুখ্যমন্ত্রী দেখে ফেলেছেন উত্তরাখণ্ডবাসী। তাঁদের প্রত্যেকের আয়করই জমা দেওয়া হয় রাজ্যের ভাঁড়ার থেকে। যোগী আদিত্যনাথ এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেওয়ার পর কার্যত তাঁর কথারই পুনরাবৃত্তি শোনা যায় উত্তরাখণ্ডের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। সেখানেও এই আইন রদ করা হবে বলে জানিয়েছেন ত্রিবেন্দ্র সিংহ রাওয়াত।

মধ্য প্রদেশে ১৯৯৪ সালের ১ লা এপ্রিল থেকে এই নিয়ম চালু হয়েছে। কমলনাথের রাজ্যে শুধু মুখ্যমন্ত্রী বা মন্ত্রিসভাই নয়, সংসদীয় সচিবদের আয়করও যায় রাজ্যের ভাঁড়ার থেকেই।

Comments are closed.