উর্জিত প্যাটেলের ইস্তফায় মোদীকে নিশানা রাহুল, মমতাসহ বিরোধীদের। ভারতে উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত, বললেন রঘুরাম রাজন
আরবিআই গভর্নরের পদ থেকে উর্জিত প্যাটেলের ইস্তফাকে হাতিয়ার করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণে নামল বিরোধীরা। দেশের একের পর এক প্রতিষ্ঠান ভেঙে পড়ছে, দেশে আর্থিক জরুরি অবস্থা চলছে বলে মোদী সরকারকে তীব্র আক্রমণ করল কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিএম থেকে শুরু করে সমস্ত বিরোধী দল। শুধু তাই নয়, উর্জিত প্যাটেলের পাশে দাঁড়িয়ে গোটা বিষয়ে দেশের উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করলেন আরবিআই-এর প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন।
কয়েক দিন বাদেই আরবিআই-এর বোর্ড মিটিং। তার আগে গভর্নরের পদত্যাগে একেই যথেষ্ট অস্বস্তিতে মোদী সরকার। এই অবস্থায় মঙ্গলবার পাঁচটি রাজ্যে গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা নির্বাচনের রেজাল্ট। তার আগে সোমবারই বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি দিল্লিতে মিটিংয়ে বসেছিল। সেই সময় উর্জিত প্যাটেলের আচমকা পদত্যাগে সংসদ অধিবেশন শুরুর আগে হাতে নতুন অস্ত্র পেয়ে গেল বিরোধীরা।
ব্যক্তিগত কারণে এই ইস্তফা বলে উর্জিত প্যাটেল জানালেও, তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিজেপি বিরোধী দলগুলি। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেন, সিবিআই, আরবিআই, নির্বাচন কমিশন একের পর এক প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা, মর্যাদা আজ ধ্বংসের মুখে। কেন্দ্রের চাপেই উর্জিত প্যাটেলকে ইস্তফা দিতে হয়েছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের।
এই ইস্যুতে তীব্র ভাষায় কেন্দ্রকে আক্রমণ করেছেন তৃণমূল নেত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লিতেই সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দেশে আর্থিক জরুরি অবস্থা চলছে। অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। তারই প্রমাণ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নরের পদত্যাগ।
সম্প্রতি কেন্দ্রের সঙ্গে উর্জিত প্যাটেলের সংঘাত নিয়ে আরবিআই গভর্নরের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন রঘুরাম রাজন। প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানিয়েছেন, এই ঘটনায় ভারতের উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত।
বিরোধীদের তীব্র আক্রমণের মুখে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নরের পদত্যাগ নিয়ে ট্যুইট করে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। ট্যুইট বার্তায় মোদী জানিয়েছেন, ‘ডঃ উর্জিত প্যাটেল একজন উচ্চমেধার অর্থনীতিবিদ যিনি, ম্যাক্রো ইকোনমিক ইস্যু গভীরভাবে বুঝতেন।’