গুজরাত দাঙ্গার সময় নিহত কংগ্রেস নেতা এহসান জাফরির স্ত্রীর আবেদনে মোদীর বিরুদ্ধে শুনানি সুপ্রিম কোর্টে

লোকসভা ভোটের আগে নতুন করে চাপ বাড়ল নরেন্দ্র মোদীর। গুজরাত দাঙ্গায় নরেন্দ্র মোদীকে দেওয়া উচ্চ আদালতের ক্লিনচিট নিয়ে জাকিয়া জাফরির আবেদনে সাড়া দিল সুপ্রিম কোর্ট। ফের নতুন শুনানিতে বসছে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। আগামী ১৯ নভেম্বর শীর্ষ আদালত এই মামলার আবেদন শুনবে বলে জানা গিয়েছে।
গুজরাত দাঙ্গার সময় খুন হওয়া কংগ্রেস নেতা এহেসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া জাফরি আদালতে গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে আবেদন করেছিলেন। ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গায় বিশেষ তদন্তকারী দল তৎকালীন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ক্লিনচিট দেয়। জাকিয়ার অভিযোগ ছিল, তাঁর স্বামীর হত্যাকাণ্ডের পিছনে বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে। নরেন্দ্র মোদী সেই হিংসা আটকাতে কোনও ব্যবস্থাই নেননি। তাঁরই অভিযোগের ভিত্তিতে ২০০৮ সালে সিট গঠন করে সেই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের তত্ত্বাবধানে হয় সেই তদন্ত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর তদন্ত শুরু করে সিট। জেরার মুখে পড়তে হয় গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। পরে তদন্ত গুটিয়ে আনার পর সিট মোদীসহ ৫৯ জনকে ক্লিনচিট দেয়। সেই সময় ক্লিনচিটের কারণ হিসাবে সিট জানিয়েছিল, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ যায়নি।
এরপরই একে একে নিম্ন আদালত ও গুজরাত হাইকোর্টে মোদীর ক্লিনচিটের বিরুদ্ধে পিটিশন দায়ের করেন জাকিয়া জাফরি। কিন্তু দুটি ক্ষেত্রেই পিটিশন খারিজ হয়ে যায়। এরপরই তিনি শীর্ষ আদালতে যান। প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ এহসান জাফরির বিধবা স্ত্রী জাকিয়ার সেই আবেদনের ভিত্তিতে মঙ্গলবার শীর্ষ আদালত জানায়, আগামী সোমবার, ১৯ নভেম্বর এই মামলার শুনানি হবে।
প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদীকে ২০১০ সালে নয় ঘণ্টা ধরে জেরা করে পরে তাঁকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয় সিট। ২০১২ সালে জাকিয়া জাফরি এই রিপোর্টের বিরুদ্ধেও আদালতে মামলা করেন। ২০১৩ সালেও নিম্ন আদালত সিটের রিপোর্টকেই মান্যতা দেয়। পরে জাফরি ও অন্যান্যরা গুজরাত হাইকোর্টে যান। তবে সেখানেও আদালত বিশেষ তদন্তকারী দলের রিপোর্টকেই মান্যতা দিয়ে আবেদন খারিজ করে দেয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই ঘটনায় যোগ নেই বলে জানিয়ে দেয়।

Comments are closed.