কয়েক দিন আগেই ব্যাঙ্ক অব বরোদার সঙ্গে বিজয়া ব্যাঙ্ক ও দেনা ব্যাঙ্কের সংযুক্তিকরণে সম্মতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।
অন্যদিকে, ২০১৮ সালের গোড়ায় পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক থেকে বিশাল পরিমাণ অর্থ তছরুপের ঘটনা ঘটে। নীরব মোদী ও মেহুল চোকসির বিরুদ্ধে ১৩ হাজার কোটি টাকা ঋণখেলাপের অভিযোগ ওঠে। সেই টাকা কীভাবে উদ্ধার হবে তা নিয়ে এখনও ধন্দ রয়েছে। এর মধ্যেই, পঞ্জাব ন্যশনাল ব্যাঙ্ক (পিএনবি) এর সঙ্গে ওরিয়েন্টাল ব্যাঙ্ক অব কমার্স (ওবিসি) এবং পঞ্জাব অ্যান্ড সিন্দ ব্যঙ্ককে সংযুক্ত করার কথা ভাবছে মোদী সরকার। সূত্রের খবর, এব্যাপারে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির পরিচালনায় মন্ত্রীদের নিয়ে একটি বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে ব্যাঙ্কিং সেক্টরের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে এই তিন ব্যাঙ্ক খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার জন্য কেন্দ্রের তরফে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে খবর। জানা গিয়েছে, তিন ব্যাঙ্কের সংযুক্তির ফলে মোট ব্যবসা বেড়ে হবে ১৬.৫ লক্ষ কোটি টাকা।
Related Posts
প্রসঙ্গত, এর আগে ব্যাঙ্ক অব বরোদার সঙ্গে বিজয়া ব্যাঙ্ক ও দেনা ব্যাঙ্ককে একত্রিত করে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্ক তৈরির সরকারি প্রস্তাব পাশ হয়েছে। এর আগে, স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে পাঁচ ব্যাঙ্কের সংযুক্তিকরণ ও ব্যাঙ্ক অব বরোদার সঙ্গে দুটি ব্যাঙ্কের সংযুক্তিকরণে সাফল্য আসছে বলে দাবি করেছে কেন্দ্র। সেই সূত্র ধরেই পিএনবি ব্যাঙ্ককে ওবিসি এবং পঞ্জাব অ্যান্ড সিন্দ ব্যাঙ্ককে একত্র করার চিন্তা-ভাবনা চলছে।
পাশাপাশি, গত বছর দুই ব্যবসায়ী, নীরব মোদী ও মেহুল চোকসির বিরুদ্ধে ১৩ হাজার কোটি টাকা ঋণখেলাপির অভিযোগ আনে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক। অন্যদিকে, ওবিসি এবং পঞ্জাব অ্যান্ড সিন্দ ব্যাঙ্কের অবস্থাও তথৈবচ। তিনটি ব্যাঙ্কই বিপুল লোকসানের মধ্যে ধুঁকছে।
২০১৯-২০ সালের অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশের সময়ও ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল মন্তব্য করেছিলেন, ব্যাঙ্কগুলিকে একত্রিকরণের ফলে দেশের অর্থনীতির শ্রীবৃদ্ধি ঘটবে।
Comments are closed.