হরিয়ানায় হার, এবার পাঞ্জাবের পুরভোট এড়াতে চাইছে বিজেপি, কটাক্ষ বিরোধীদের

বাংলায় পুরভোটের দাবিতে যখন সুর সপ্তমে তুলছে বঙ্গ বিজেপি তখন পাঞ্জাবে পুরভোট পিছিয়ে দেওয়ার দাবিতে রাজ্যপালের কাছে দরবার করলেন সে রাজ্যের বিজেপি সভাপতি। পাঞ্জাব বিজেপির সভাপতি অশ্বিনী শর্মা রাজ্যপালের কাছে আবেদন রেখেছেন, রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত যেন ভোট স্থগিত রাখা হয়। প্রসঙ্গত সম্প্রতি হরিয়ানায় পুরভোটে শোচনীয় অবস্থা হয়েছে বিজেপির।

গত বুধবার পাঞ্জাবের রাজ্যপাল ভিপি সিংহ বদনোরকে দেওয়া স্মারকলিপিতে বিজেপি অভিযোগ করেছে, কংগ্রেসের উস্কানিতে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়েছে। তাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত যেন মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের ভোট স্থগিত রাখা হয়।

রাজভবন থেকে বেরিয়ে পাঞ্জাব বিজেপির সভাপতি শর্মা বলেন, আমরা গণতন্ত্রের পক্ষে। বিরোধিতার স্বর থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তার অর্থ নৈরাজ্য নয়। কংগ্রেস সরকার রাজ্যের অর্থনীতি ও সৌহার্দ্যকে জলাঞ্জলি দিতে বদ্ধপরিকর।

সূত্রের খবর, কৃষক আন্দোলন নিয়ে শুরু থেকেই চাপে পাঞ্জাবের বিজেপি নেতৃত্ব। পরিস্থিতি এমন যে বিজেপি নেতাদের বাড়ির সামনে নিত্য চলছে ঘেরাও। কয়েকটি ক্ষেত্রে বিজেপি নেতাদের গনক্ষোভের মুখেও পড়তে হয় বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকজন নেতা কর্মী হাসপাতালে। বস্তুত বিজেপি নেতাদের সামাজিক বয়কটের কথাও ভাবছেন পাঞ্জাবের কৃষকরা।

অমৃতসরে কিষাণ মজদুর সংঘর্ষ কমিটির সদস্যরা শহরের প্রত্যেক বিজেপি নেতার বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেছে। পাঞ্জাব বিজেপির নেতা তথা সাধারণ সম্পাদক তরুণ চুঘ, বিজেপির রাজ্যসভার সদস্য শোয়াইত মালিকের বাড়ি ও তাঁর শপিং মলের সামনে কৃষকরা ব্যারিকেড লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। বাদ পড়েনি ছোট নেতাদের বাড়িও।

এই পরিস্থিতিতে পুর ভোট হলে বিজেপির ফল কী হবে তা অনুমান করেই আগেভাগে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার দরবার করে রাখলেন রাজ্য বিজেপি নেতারা, খোঁচা কংগ্রেসের। মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহয়ের কটাক্ষ, মোদী-শাহ ঘোষণা করুন কৃষি বিল ফেরত নিচ্ছি, কথা দিলাম কৃষকরা দিল্লি সীমানা থেকে আবার মাঠে ফিরে আসবেন। তাহলেই একমাত্র বিজেপি নেতাদের ভয় কাটবে।

এদিকে কৃষি আইন নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে দেশজুড়ে পদক্ষেপ নিয়েছে বিজেপি। কিন্তু যে দুই রাজ্য মূলত আন্দোলনে উত্তাল সেই পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় বিজেপির কোন প্রকাশ্য কর্মসূচি নেই। পাঞ্জাবে বিজেপি কোনোদিনই তেমন শক্তিশালী নয়। কিন্তু হরিয়ানায় ক্ষমতায় বিজেপি। সেই রাজ্যে কেন কৃষি বিলের সমর্থনে পথে নামছে না বিজেপি? প্রশ্ন করছেন আন্দোলনকারী কৃষকরা।

হিমাচলেও কৃষি বিলের বিরুদ্ধে একজোট হচ্ছেন কৃষকরা। সবমিলিয়ে উত্তর ভারতের ৩ রাজ্য নিয়ে ক্রমেই চাপ বাড়ছে মোদী-শাহের।

Comments are closed.